Vijay Deverakonda Exclusive: বলিউড আমার ফোকাস নয়, এই দেশই হল আমার আসল লক্ষ্য: বিজয় দেবেরাকোন্ডা

Vijay Deverakonda: TV9 Network-এর সিইও বরুণ দাসের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় 'লাইগার' বিজয়। মনের ঝাঁপি খুললেন সহজেই। বিয়ে থেকে প্রেম, দক্ষিণী বনাম বলিউড... উঠে এল নানা প্রসঙ্গই।

Vijay Deverakonda Exclusive: বলিউড আমার ফোকাস নয়, এই দেশই হল আমার আসল লক্ষ্য: বিজয় দেবেরাকোন্ডা
বিজয় দেবেরাকোন্ডা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2022 | 9:24 PM

 

‘লাইগার’— উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিমে এখন একটাই গর্জন। ছবির ভাল-মন্দের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে জোরকদমে আবার একই সঙ্গে বক্সঅফিসেও হচ্ছে লক্ষ্মীলাভ। এই ছবির মূল আকর্ষণ দক্ষিণী সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোণ্ডা। অবশ্য তাঁর পরিচয় কি এখন শুধুই দক্ষিণী?  ‘লাইগার’ তাঁর প্রথম বলিউড ছবি হলেও পর্দার অর্জুন রেড্ডি তো সেই কবেই নারীমনে হিল্লোল তুলেছেন। TV9 Network-এর সিইও বরুণ দাসের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ‘লাইগার’ বিজয়। মনের ঝাঁপি খুললেন সহজেই। বিয়ে থেকে প্রেম, দক্ষিণী বনাম বলিউড… উঠে এল নানা প্রসঙ্গই।

এই বছর কয়েক আগেও বলিউডের বাজারে দক্ষিণী ছবির রমরমা এতটা দেখা যায়নি। তবে চুপিসারে ট্রেন্ড সেট করে চলে গিয়েছিল ‘বাহুবলী’। আর সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে! ‘পুষ্পা’ থেকে ‘আরআরআর’– দক্ষিণী মোহে আচ্ছন্ন দেশ। লাইগার কী বলছেন? বিজয়ের কথায়, “এ কথা সত্যি তেলুগু ছবির জন্য এ সময়টা বড় ভাল। দেশের জন্য সিনেমা তৈরি করলে তার ঠিক কী ফল হতে পারে সে তো আমাদের বাহুবলীই দেখিয়েছে। বাহুবলী যে পথ আমাদের জন্য খুলে দিয়েছিল, লাইগার সেই পথেই চলছে।” এ ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই তৈরি করেছিল হাইপ। অনন্যা পাণ্ডের সঙ্গে এই তাঁর প্রথম কাজ। দেশের ১৭ টি শহরে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেছে ছবিটি। দক্ষিণী ছবির স্টারের সারা দেশ জুড়ে ভালবাসা কতটা প্রভাবিত করেছে তাঁকে? বিজয়ের সাফ কথা,”এ ছবি আমায় আরও সংযত করেছে।”

ছবিটির একটি পোস্টারের কথা মনে আছে? সম্পূর্ণ নগ্ন বিজয়। তাঁর সুডোল বাহু, টানটান পেশী দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন জনগণ। ওই শরীর তৈরি কিন্তু কোনও এক রাতের বাজিমাত ছিল না। সময় লেগেছে পাক্কা দুই বছর। লকডাউনের সময়েই তিলে তিলে ফিট হয়ে উঠেছেন বিজয়। তাই লকডাউন তাঁর কাছে অভিশাপের বেশে আদপে যেন ছিল আশীর্বাদ। তবে ছবির শুটিংয়ের শুরুতেই অভিনেতা পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, খোলা শরীর ব্যতীত যে দৃশ্যগুলি রয়েছে তা আগে নিয়ে নিতে। যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে ‘ফাইটার’  হিসেবে প্রমাণ করতে না পারছেন, বিশ্বাস করাতে না পারছেন ততক্ষণ ওই সব দৃশ্যে খালি গায়ের শুট করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু ওই যে, পরিশ্রমে কী না হয়? লক্ষ্য ঠিক ছিল আগেই, বিজয় দিয়েছেন সম্পূর্ণটা…  এরপর বাকিটা তো ইতিহাস।

১৮ বছর বয়স থেকে তাঁর সিনেদুনিয়ায় যাত্রা শুরু। কোনও ‘ফিল্মি লিনিয়েজ’ নিয়ে জন্মাননি বিজয়। এসেছে বহু প্রতিকূলতা। তিনি প্রমাণ করেছেন বারংবার। আর ‘লাইগার’-এর প্রস্তাব? তা কী করে আসে বিজয়ের কাছে? তাও আবার বিগ ব্যানার ধর্মের তরফে? জানা গেল, অর্জুন রেড্ডি দেখার পরেই নাকি বিজয়ের ক্যারিশ্মায় মুগ্ধ ছিলেন করণ জোহর। এরপর লাইগারের চিত্রনাট্য শোনার পর আর না করেননি বিজয়। দুই দুইয়ে চার হতেই ছবি চলে গেল ফ্লোরে। আর বিজয়ও শুরু করলেন তাঁর বলিউড যাত্রা। আগামী দিনে বলিউডেই রাজত্ব তাঁর? বিজয় যদিও ব্যাপারটাকে অন্যভাবে দেখছেন। দক্ষিণী-বলিউড তর্জায় যখন উত্তাল গোটা দেশ তখন তাঁর সাফ কথা, “বলিউড আমার ফোকাস নয়, ভারত আমার লক্ষ্য। আমার কাছে গল্প বলাটাই আসল। যদি গোটা দেশ সেই গল্প শুনতে চায় তখন দেশকেই শোনান উচিত”। আপাতত মিশন লাইগার, ভবিষ্যতে আর কোন কোন দিক জয় করেন বিজয় এখন শুধু সেটাই দেখার।