‘… হয়তো আমিই বয়ে নিয়ে এসেছিলাম’, করোনায় স্ত্রীকে হারালেন টলি- পরিচালক
গত ৭ মে নিজের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন পরিচালক।
আবারও খারাপ। করোনায় প্রয়াত হলেন পরিচালক অনিন্দ্য সরকারের স্ত্রী প্রীতি সরকারের। পরিচালক নিজেও করোনা আক্রান্ত। আক্রান্ত তাঁর মেয়েও। পরিচালকের ফেসবুক পোস্টের সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রথমে তাঁর মেয়ে আক্রান্ত হন, তারপর স্ত্রী এবং সবশেষে তিনি নিজে। নেয়ে এবং স্ত্রী যদিও বিগত এক বছর বাড়ির বাইরে সে ভাবে বেরননি, তাই পরিচালকের আক্ষেপ ‘…হয়তো আমিই বয়ে নিয়ে এসেছিলাম।”
গত ৭ মে নিজের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন পরিচালক। খানিক রসিকতার ছলেই লিখেছিলেন, “অবশেষে তিনি এলেন..তখন ভোর পাঁচটা..সবে সবে আলো ফুটেছে বাইরে…হঠাৎ একটা শিহরণ..মাথায় একটা ঝিমঝিম ভাব..গলার কাছে একটা দলা পাকানো ব্যথা..দেহে উত্তেজনা..বেশ উত্তাপ অনুভব করতে আরম্ভ করলাম..বুঝলাম তার আলিঙ্গন আমাকে স্পর্ষ করল…পাশের একটা ঘরে আমার স্ত্রী অন্য ঘরে আমার কন্যা ঘুমে আচ্ছন্ন..চুপিচুপি গিয়ে একটা বলবর্ধক প্যারাসিটামল খেলাম যাতে এই উনিশ/কূড়ি বছরের দূরন্ত যৌবনার সাথে পাল্লা দিয়ে খেলাটা হয় খুব নিবিড়..”।
স্ত্রী-মেয়ের দেখভাল করছিলেন নিজেই। ময়লা ফেলা,ডাব কেটে দেওয়া,লেবু দেওয়া, আদা লবঙ্গর চা করে দেওয়া হোম ডেলিভারীর খাবার নেওয়া,ডিসপোসেবল এর ব্যবস্থা সবই করতে হচ্ছিল পরিচালককেই। মেয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও স্ত্রীর জ্বর ছিল। হঠাৎ করেই অঘটন। যদিও করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও মনের জোর হারাননি তিনি। লিখেছিলেন, “না আমি ভয় পাচ্ছিনা বন্ধুরা..তোমাদের সকলের ভালবাসা আরও বহুবছর পেতে হবে তো..কাজ..আড্ডা..তর্ক বিতর্ক..ছড়া লেখা..সিনেমা থিয়েটার দেখা আমার মহিলা ফ্যানদের মধ্যমনি হয়ে থাকা.. আরও কত কিছূ আছে বাকি..”। কিন্তু তাঁর পরিবারের এই ক্ষতিতে শোকে মুহ্যমান ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরাও। অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় যেমন লিখেছেন, “অনিন্দ্য দা তোমাকে ফোন করার সাহস হল না। প্রীতি বৌদি যেখানেই থাক, ভাল থাক।” রূপার পোস্টেই কমেন্ট করেছেন প্রযোজক-চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। মনামী ঘোষ ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ।
আরও পড়ুন–‘একদম উপভোগ করিনি, ওঁরা বলল প্রশংসা করতেই হবে’, কিশোর কুমার-পর্ব নিয়ে বিস্ফোরক অমিত কুমার
যদিও করোনা মানেই যে পরাজয় না তা দিন কয়েক আগেই প্রমাণ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনামিকা সাহা। গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। বাড়িতেই সুস্থ হয়েছেন অভিনেত্রী মজুমদারও। অন্যদিকে অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়ও কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তবে তিনি স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।