ও বাড়ি ফিরে একটু ঘুমোক, শ্রীকান্তের জামিন-মুক্তিতে বললেন অরিন্দম শীল
“পেশাদারিত্বের কথা মাথায় রেখে হয়তো আমিও সবার মতোই চাইব যে, ও কাজে ফিরুক। তবে সেটা খুবই স্বার্থপরের মতো হয়ে যাবে। আমি মন থেকে যা চাইব, তা হল ও ফিরে একটু থিতু হোক।
প্রযোজক-পরিচালকের সম্পর্ক তাঁদের মধ্যে একেবারে নয়। তাঁরা দু’জন বন্ধু। ভীষণ কাছের বন্ধু। শ্রীকান্ত মোহতা এবং অরিন্দম শীল (Arindam Sil)। ২০১৯ সালে রোজভ্যালি চিটফান্ড মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় শ্রীকান্ত মোহতাকে। মনোকষ্ট নিয়ে প্রায় দু’বছর কেটেছে পরিচালক অরিন্দম শীলের। আজ, সোমবার শ্রীকান্তের জামিনে মুক্তির খবর প্রকাশ্য়ে আসার পর TV9 বাংলা ডিজিটাল-এর তরফে যোগাযোগ করা হয় অরিন্দমের সঙ্গে। তিনি বলেন, “এই খবর যে কতটা আনন্দের, সেটা আলাদা করে আর প্রকাশ করার কিছু নেই। ভীষণ ঝড় বয়ে গিয়েছে ওর উপর দিয়ে। এখন শুধু শান্তি দরকার। যে ভাবে ও এতগুলো দিন কাটিয়েছে, তা ভাবলে…” টানা বলে যাওয়ার পর চুপ করে যান অরিন্দম।
View this post on Instagram
শ্রীকান্তের গ্রেপ্তারের পর যো প্রশ্ন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বারবার করে উঠে এসেছিল, তা হল: কী হবে বাংলার সবথেকে বড় প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ-এর ভবিষ্য়ত? প্রশ্ন উঠেছিল, একা কি সামলাতে পারবেন সংস্থার আর এক কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি? মহেন্দ্র পেরেছেন কি পারেননি, তা নিয়ে মতাপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু অনেক বড় নাম, যাঁরা একসময় এসভিএফ-এর ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন, তাঁদের কেউ-কেউ আজ ‘প্রাক্তন’। এসভিএফ-এর ব্য়ানারে ‘ব্য়োমকেশ’-সিরিজ, ‘শবর’-সিরিজের মতো সুপারহিট ছবি পরিচালনা করেছেন অরিন্দম। ‘প্রাক্তন’-এসভিএফদের মধ্য়ে তিনিও একজন।
যদি প্রযোজক শ্রীকান্ত নয়, বন্ধু শ্রীকান্ত বলেন, “চলো একসঙ্গে কাজ শুরু করি, করবেন?” প্রশ্ন রেখেছিল TV9 বাংলা ডিজিটাল। সোজাসাপটা অরিন্দম উত্তর দিলেন, “আমি অনেকদিন এসভিএফ-এ নেই কারণ সেখানে সেইভাবে কাজ হয়নি। মণি (মহেন্দ্র সোনি)-ও আমাকে বলেছিল ছবি করার কথা, কিন্তু কোনওভাবে ওয়ার্ক আউট করেনি। তবে এটা বলতে পারি শ্রীকান্তের সঙ্গে আমার ওয়েভ-লেন্থ ভীষণ ম্যাচ করে। আমি আজ পর্যন্ত এসভিএফ-এর জন্য যা-যা কাজ করেছি, সেই সব কাজের মেন্টর ছিল শ্রীকান্ত। তা-ই কাজ না করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”
View this post on Instagram
কোথাও কি মনে হচ্ছে শ্রীকান্তের জামিন সদর্থক প্রভাব ফেলবে ইন্ডাস্ট্রিতে? “পেশাদারিত্বের কথা মাথায় রেখে হয়তো আমিও সবার মতোই চাইব যে, ও কাজে ফিরুক। তবে সেটা খুবই স্বার্থপরের মতো হয়ে যাবে। আমি মন থেকে যা চাইব, তা হল ও ফিরে একটু থিতু হোক। ও যে কীভাবে কাটিয়েছে গত দু’বছর, আমরা তা কল্পনাও করতে পারি না। ও বাড়ি ফিরে একটু ঘুমোক। তারপর সাধারণ জীবনযাপনে ফিরুক ধীরে-ধীরে। এটা তো এমন নয়, আজ জেল থেকে বেরলাম, আর কাল আবার কাজ করতে শুরু করলাম। এমন হয় না। ও বাড়ি ফিরে একটু ঘুমোক,” আস্তে-আস্তে বললেন অরিন্দম শীল।