বহু বছর পরে,আমার বাড়ির কাছে, প্রায় মাঝ রাতে এক বন্ধু তৈরি হল, নাম তার মীনাক্ষী: জিতু কামাল

ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা। কলকাতার বুকে রাত্রি ঘনিয়েছে অনেকটাই। গাঙ্গুলিবাগানের মোড়ের ভিড়টা বাড়ছিল ক্রমশই। গাড়ি থামিয়েও কেউ কেউ শুনছিলেন বক্তৃতা। বক্তা, সেই মিনাক্ষী

বহু বছর পরে,আমার বাড়ির কাছে, প্রায় মাঝ রাতে এক বন্ধু তৈরি হল, নাম তার মীনাক্ষী: জিতু কামাল
জিতুর নতুন বন্ধু।
Follow Us:
| Updated on: Apr 04, 2021 | 4:18 PM

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ভক্ত তিনি। সুভাষ চক্রবর্তীকে ‘বন্ধু’ বলে মনে করেন। বহু বছর পর শনিবার প্রায় মধ্যরাতে বাম সমর্থক অভিনেতা জিতু কামালের আর এক নতুন বন্ধু তৈরি হয়েছে। যার নাম মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। যিনি , ২০২১ নির্বাচনে নন্দীগ্রামে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী।

ঘড়ির কাঁটায় তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা। কলকাতার বুকে রাত্রি ঘনিয়েছে অনেকটাই। গাঙ্গুলিবাগানের মোড়ের ভিড়টা বাড়ছিল ক্রমশই। গাড়ি থামিয়েও কেউ কেউ শুনছিলেন বক্তৃতা। বক্তা, সেই মিনাক্ষী। ওখানে থেকে জিতুর বাড়ির দূরত্ব বেশি নয়। বছর ৩৭-এর মেয়েটির বক্তব্যে আপ্লুত অভিনেতা। তাঁর ‘উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনায়’ মোহিত জিতু সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
তিনি লিখেছেন, “আমি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এর খুবই বড় ভক্ত, তা আমার বলতে দ্বিধা নেই.. তারপরের স্থানই বন্ধু সুভাষ চক্রবর্তী এর.. বারাসাত কাচারী ময়দান ২০০২ অথবা ২০০৩ হবে, আমি ওনার বক্তব্য শোনার জন্যে বড়দের স্লোগানে গলা মিলিয়ে চলে গেলাম…. আজ বহু বছর পরে,আমার বাড়ির কাছে, প্রায় মাঝ রাতে আরও এক বন্ধু তৈরী হলো, নাম তার “মীনাক্ষী”। বাপ্ রে বাপ্, কী উচ্ছ্বাস, কী উদ্দীপনা…”।

 

ব্যক্তিগত ভাবে দু’জনের আলাপচারিতা হয়তো নেই। কাল অবধিও মীনাক্ষী জিতুর কাছে ছিলেন শুধুই প্রার্থী। কিন্তু কাল রাতের স্লোগান আর মেঠো গলায় নন্দীগ্রামের ‘নতুন দিদি’র বক্তব্যে জিতু খুঁজে পেয়েছেন নতুন বন্ধুত্বের আস্বাদ। হঠাৎ করেই মীনাক্ষী হয়ে গিয়েছেন তাঁর চেনা কেউ।

এর আগে দলবদলের রাজনীতি, আর রংবদলের খেলার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা জানিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন জিতু। লিখেছিলেন, “আপনাকে ভালোবাসি স্যার.. আপনি বাম রাজনীতি করেন শুধু তাই জন্যে নয়.. আপনি সততার, সত্যের, নিষ্ঠার আরেক নাম..আপনি “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য”। এখানেই থামেননি অভিনেতা। তিনি আরও লিখেছিলেন, “এই পোস্টের জন্যেও, আমার কাজের ক্ষতি হবে, সংসার চালাতে ব্যাঘাত ঘটানো হবে, প্রচুর কমপ্লেইন পড়বে, তবুও আমি রাজনীতির উর্দ্ধে গিয়ে সত্যের কথা বলবোই, বাকি দুবেলা পেট নাহয় ঈশ্বরই চালিয়ে দেবেন, যদি সত্যের পথে থাকতে পারি।” ওই পোস্টের পর তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে আদপে কোনও প্রভাব পড়েছে কিনা তা জানা না গেলেও জিতুর ফেসবুক প্রোফাইল এখন ‘লালে লাল’।