মধ্যরাতে ফাঁকা কলকাতায় দুর্ঘটনা, সাহায্যের হাত বাড়ালেন মিমি, তারপর…
Mimi Chakraborty: মিমি চক্রবর্তীকে শো সঞ্চালক শ্বাশত চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছিলেন, একবার মিমি চক্রবর্তী মধ্যরাতে এক সাহসী পদক্ষেপ করেছিলেন। প্রথমে তিনি বলতে না চাইলেও পরবর্তীতে মিমি স্পষ্ট করে জানান ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে।
মিমি চক্রবর্তী, বরাবরই তিনি বেশ সাহসী। যে কোনও বোল্ড পদক্ষেপ করতে তিনি দুবার ভাবেন না। যেখানে যেটা প্রয়োজন, তাঁর সাধ্যের মধ্যে থাকলে তিনি তা করার চেষ্টা করেন। মিমি চক্রবর্তী সাধারণত এই বিষয় খুব একটা মুখ খোলেন না। একবার মধ্যেরাতের কলকাতায় যে পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি, তা এককথায় চমকে দিতে পারে অনেককেই। জি বাংলার রিয়্যালিটি শো অপুর সংসারে এসে মুখ খুলেছিলেন তিনি। মিমি চক্রবর্তীকে শো সঞ্চালক শ্বাশত চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছিলেন, একবার মিমি চক্রবর্তী মধ্যরাতে এক সাহসী পদক্ষেপ করেছিলেন। প্রথমে তিনি বলতে না চাইলেও পরবর্তীতে মিমি স্পষ্ট করে জানান ঠিক কী ঘটেছিল সেই রাতে।
মিমি চক্রবর্তী বলেছিলেন, ”আমি কোনও একটা শুট থেকে ফিরছিলাম। আমার গাড়িতে তখন দুজন বাউন্সার ছিলেন। হঠাৎ তাঁদের মধ্যে একজন বলে উঠলেন, সামনে দেখুন, আমি তাকিয়ে দেখি, একটা গাড়ি একটা বাইককে এসে ধাক্কা মারে, বাইকের কোনও দোষ ছিল না, তিনি রাস্তার ধার দিয়েই যাচ্ছিলেন, দেখলাম গাড়িতে মানুষটি আটকে গিয়েছেন, ওই অবস্থায় গাড়িটি চলছে। দেখে অবাক হয়ে যাই। কিছুক্ষমের মধ্যে মানুষটি ছিটকে পড়লেন। গাড়ি চালকের এতটাই দুঃসাহস যে তাঁরা সেই অবস্থায় গাড়ি দ্রুত গতিতে চালাতে থাকে। আমি তখন স্থির করি, গাড়ির পিছু নেব। কারণ ওই দুষ্কৃতিদের ছাড়া যাবে না। বরং এই মানুষটিকে দেখতে অনেকেই আসবেন, এনাদের ধরাতে হবে। তাই করি। আমি ড্রাইভারকে বলি, দ্রুত গাড়িটা চালিয়ে ওনাদের ধরতে, তিনি তাই করেন। সেখানে গিয়ে দেখি, তাঁরা মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন, যতটা না মদ্যপ, তার থেকে বেশি ভান করছেন। আমি সেখান থেকে পুলিশকে ফোন করে তাদের ধরিয়ে দিয়েছিলাম। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।” সবটা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন শ্বাশত।