AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ঠিক মতো খবরটাও তো পাচ্ছিলাম না’, হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন তেজেন্দ্র-তন্ময়রা

রশিদ খান-- ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ঘরানায় এক উজ্জ্বল নাম। ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই করে এ দিন শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে বিকেল ৩টে ৪৫-এ মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এ কয়দিন রশিদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য সামনে আসেনি।

'ঠিক মতো খবরটাও তো পাচ্ছিলাম না', হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন তেজেন্দ্র-তন্ময়রা
হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন তেজেন্দ্র-তন্ময়রা
| Updated on: Jan 09, 2024 | 5:42 PM
Share

‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির রাঞ্চো, ফারহান আর রাজুকে মনে আছে? তিনজনের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। রাঞ্চো যখন নিয়েছিলেন ‘স্বেচ্ছা নির্বাসন’ তখন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বাকি দুই বন্ধু– এই প্লট তো সকলেরই জানা। কিন্তু বাস্তব বড় কঠিন। সবটাই ‘সিনেমার মতো’ নয়। বাস্তবে ত্রয়ীর আর দেখা হবে না। হবে না কোনও কথাও। র‍্যাঞ্চোরা সব সময় যে স্বেচ্ছা নির্বাসন নেয় তা তো নয়, কিছু সময়ে তাঁদের চলেও যেতে হয় ইচ্ছার বিরুদ্ধে।

রশিদ খান– ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের ঘরানায় এক উজ্জ্বল নাম। ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই করে এ দিন শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে বিকেল ৩টে ৪৫-এ মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এ কয়দিন রশিদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য সামনে আসেনি। বাড়ির লোক ফোন ধরেননি। তাই এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে গায়কের মৃত্যু সংবাদ জানাচ্ছিলেন তখন কার্যত বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন গায়কের ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু সরোদ বাদক পন্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার ও তবলা বাদক পন্ডিত রশিদ খান। খবর পেয়েই টিভিনাইন বাংলা যোগাযোগ করেছিল তেজেন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে। রশিদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তো আর আজকের নয়। বললেন, “আমার কিচ্ছু বলার নেই। ভাল খারাপ-ভাল খারাপ হচ্ছিল। খবরটা ঠিক মতো আসছিলও না। চেষ্টা করছিলাম … কিন্তু পাচ্ছিলাম। ভারতবর্ষে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে রশিদের মতো গলা আর…”, ব্যস আর কথা বলতে পারলেন না তেজেন্দ্র নারায়ণ। কেঁদে ফেললেন তিনি।

একই সুর পন্ডিত তন্ময় বসুরও। কথা বলতেই বলতেই গলা ধরে এল তাঁর। বন্ধু হারানোর এই যন্ত্রণা যে অবর্ণনীয়। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছে, আগামীকাল, অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ৯.৩০টা নাগাদ রশিদ খানের পার্থিব দেহ নিয়ে যাওয়া হবে প্রথমে রবীন্দ্রসদনে, তারপর তাঁর নাকতলার বাড়ি হয়ে টালিগঞ্জে কবর দেওয়া হবে তাঁকে। গোটা ঘটনায় থমকে গিয়ে তামাম দুনিয়া… ‘সজনা’ আর আসবেন না… আর ফুলে ভরে উঠবে না বাড়ির ‘অঙ্গন’।