চোর ঢুকেছিল সোহা আলি খান ও কুণাল খেমুর বাড়িতে, তারপর?
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সইফ আলি খান মুম্বইয়ের নিজের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টার সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন। সেই ঘটনার পর থেকেই তাঁর বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবার এক সাক্ষাৎকারে সইফের বোন সোহা আলি খান জানালেন, একবার তাঁর নিজের মুম্বইয়ের বাড়িতেও চুরি হয়েছিল এবং সেই সময় তাঁর স্বামী কুণাল খেমু কীভাবে চোরকে সামলেছিলেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সইফ আলি খান মুম্বইয়ের নিজের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টার সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন। সেই ঘটনার পর থেকেই তাঁর বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এবার এক সাক্ষাৎকারে সইফের বোন সোহা আলি খান জানালেন, একবার তাঁর নিজের মুম্বইয়ের বাড়িতেও চুরি হয়েছিল এবং সেই সময় তাঁর স্বামী কুণাল খেমু কীভাবে চোরকে সামলেছিলেন।
সোহা বলেন, “মুম্বইয়ে আমাদের বাড়িতে চুরি হয়েছিল। ভাইয়ের (সইফের) নয়, আমার নিজের বাড়িতে চুরি হয়েছিল। কুণাল চোরটিকে ধরেছিল এবং তাকে থানায় দিয়ে এসেছিল। চোরটা আমাদের বেডরুমে ছিল। ভোর ৪টা বাজে, আমরা তখন ঘুমাচ্ছিলাম। একটা শব্দ শুনতে পেলাম। তখন কুণালের হাতে ব্যান্ডেজ ছিল, কারণ একটা ছবির শুটিংয়ের সময় ওঁর আঙুলে চোট লেগেছিল।” তিনি আরও বলেন, “কুণাল উঠে গিয়ে দেখতে গেল, আর যখন পর্দা সরাল, তখন ওখানে একটা পুরোদস্তুর মানুষ দাঁড়িয়ে ছিল! কুনাল তখন চোরটিকে লাথি মারে এবং দু’জনেই গিয়ে ব্যালকনিতে পড়ে যায়। আমি তখন পুলিশে ফোন করি। পরে কুণাল ফিরে এসে বলল, ‘আমার মনে হয়, ও মরে গিয়েছে।’ পরে দেখা গেল, সে মরেনি, তবে ব্যাক পেইন হচ্ছিল, কারণ সে ব্যালকনি থেকে নীচে পড়ে গিয়েছিল।” সইফের আহত হওয়ার মতোই এই ঘটনাও কম অবাক করা নয়।
প্রসঙ্গত, সোহা ও কুনাল প্রথম একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন ২০০৯ সালের দিকে, সিনেমার শুটিংয়ের সময়। বন্ধুত্ব থেকেই জন্ম নেয় ভালোবাসা। তাঁরা ২০১৪ সালে বাগদান সারেন এবং ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি এক প্রাইভেট অনুষ্ঠানে বিয়ে করেন। ২০১৭ সালে জন্ম হয় তাদের কন্যা ইনায়া নাওমি খেমুর।
