‘ধর্ম নিয়ে ঝগড়া বা টেনশন হয়নি’, জাহিরকে নিয়ে মনের কথা বললেন সোনাক্ষী
৮ বছরের সম্পর্কের পর ২০২৪ সালে দীর্ঘদিনের প্রেমিক জাহির ইকবালকে বিয়ে করেন সোনাক্ষী সিনহা। এখন ধীরে ধীরে অনুরাগীদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। এক খোলামেলা আলোচনায় তিনি দুই ধর্মের মধ্যে বিয়ে, পারিবারিক সম্পর্ক এবং তাঁর আসন্ন কাজ নিয়ে কথা বলেছেন।

৮ বছরের সম্পর্কের পর ২০২৪ সালে দীর্ঘদিনের প্রেমিক জাহির ইকবালকে বিয়ে করেন সোনাক্ষী সিনহা। এখন ধীরে ধীরে অনুরাগীদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। এক খোলামেলা আলোচনায় তিনি দুই ধর্মের মধ্যে বিয়ে, পারিবারিক সম্পর্ক এবং তাঁর আসন্ন কাজ নিয়ে কথা বলেছেন।
ধর্ম তাঁদের সম্পর্কে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে—এই প্রশ্নের উত্তরে সোনাক্ষী স্পষ্টভাবে বলেন, “আমরা যে পরিবার থেকে এসেছি, যে ভিন্ন পরিবেশে মানুষ হয়েছি, তার প্রেক্ষিতে কিছু প্রথা আছে যেগুলো ও এবং ওর পরিবার অনুসরণ করে—যেগুলো আমি খুব সম্মান করি। তেমনই কিছু প্রথা আছে যেগুলো আমি এবং আমার পরিবার অনুসরণ করি—যা ওরা সম্মান করে। আমি মনে করি, এটাই এর আসল সৌন্দর্য। ধর্ম আমাদের দু’জনের মাঝে কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন, ঝগড়া বা টেনশন কখনওই হয়নি। আমি মনে করি, এটিই সবচেয়ে সুন্দর দিক। আমাদের সম্পর্কের শক্তি পরস্পরের প্রতি সম্মানে।” ৩৮ বছর বয়সী সোনাক্ষী আরও জানান, তাঁর পরিবার—অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা এবং রাজনীতিবিদ পূনম সিনহা—জাহিরকে একেবারে ভালোবাসায় আপন করে নিয়েছেন। “একশো শতাংশ জামাই ও-ই,” হেসে বলেন তিনি।
“ও এলে সবাই দৌড়াদৌড়ি শুরু করে—‘জাহির আসছে, দমাদজি আসছে… খাবার একদম রেডি থাকতে হবে।’ আর আমার মা আমাকে দশবার জিজ্ঞেস করে, ‘কী খাবে, কী খাবে?’ আর বাবা তো ওর সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালোবাসে। আমি মনে করি, ওরা দু’জন দারুণ ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছে। এখন আমি ঘরে ঢুকলে দেখি, আমি নিজেই ‘খামোশ’ হয়ে যাই আর ওরা দু’জন আড্ডা দিতে থাকে!”, খোলসা করেছেন অভিনেত্রী।
ভালোবাসা কীভাবে টিকে আছে এত বছর ধরে—এই প্রশ্নে সোনাক্ষী বলেন, “আমরা সবসময় বলি, এমন কাউকে খুঁজতে চাই যার সঙ্গে বুড়ো হওয়া যাবে। কিন্তু জাহিরের মতো একজন মানুষের সঙ্গে থেকে বুঝেছি, এমন কাউকে দরকার, যার সঙ্গে শিশুসুলভ থাকা যায়। তাতেই হাসি-ঠাট্টা বেঁচে থাকে। আমরা সবসময় হেসেই চলি। এই আনন্দটাই আমার জীবনে আগে ছিল না। এখন যখন এসেছে, আমি এর চেয়ে বেশি খুশি হতে পারি না।”
