করোনা পরিস্থিতিতে মা-বাবাকে হারাচ্ছেন যে সমস্ত সন্তানরা,সরকারকে তাদের পড়াশুনার ভার নিতে অনুরোধ করলেন সোনু সুদ
সোনু নিজে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি এবার সরকারকেও এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন সোনু সুদ এবং তাঁর সংস্থা ‘সোনু সুদ ফাউন্ডেশন’। দৈনিক আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। দ্বিতীয় দফায় মৃত্যুর হারও অনেক বেশি। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। স্বাভাবিকভাবে হাসপাতালে বেডের সমস্যা দেখা দিচ্ছে, অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মানুষ সত্যি দিশেহারা।
‘ফ্রি কোভিড হেল্প’-এর মত একাধিক পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে সোনুর সংস্থা। হাসপাতালে বেডের ব্যবস্থা করে দেওয়া, অক্সিজেনের সিলিণ্ডার পৌঁছে দেওয়া সব কিছুই করছে তাঁর সংস্থা। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত নাগপুরের একজন ২৫ বছর বয়সী মেয়ের ফুসফুস প্রতিস্থাপনের সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন সোনু। করোনায় মেয়েটির ফুসফুস ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল। মেয়েটির অপারেশন হয়েছে। এখন তিনি ভাল আছেন।
View this post on Instagram
সোনু নিজে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি এবার সরকারকেও এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেই ভিডিয়োতে তিনি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন এই করোনা পরিস্থিতিতে মা-বাবাকে হারাচ্ছেন যে সমস্ত সন্তানরা, তাদের পড়াশুনার ভার যদি সরকারের তুলে নেওয়া সম্ভব হয়। তিনি ওই ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্যাপশানে লিখেছেন, “ এই অতিমারিতে যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাঁদের জন্য সকলের এগিয়ে আসা উচিৎ।” ভিডিয়োতে তিনি বলেন, “আমি রাজ্য,কেন্দ্রীয় এবং সেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, এই করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। অনেক বাচ্চারা তাদের মা-বাবাকে হারিয়েছে। তাদের ভবিষ্যত নিয়ে আমি সত্যি খুব উদ্বিগ্ন।যদি এমন কোনও নিয়ম করা যায় এই সমস্ত সন্তানদের জন্য, তারা নিখরচায় স্কুল থেকে কলেজ অবধি পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে, এমনকী যদি কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারি বা অন্য কিছু নিয়ে পড়াশুনা করতে চায় তাও তারা বিনা পয়সায় করতে পারে, তাহলে তাদের ভবিষ্যতটা মজবুত হবে।”
আরও পড়ুন:নেটফ্লিক্সের সঙ্গে গাঁটছড়া, অন্য ভূমিকায় এবার শাহিদ কাপুর
নিজে করোনা আক্রান্ত হয়েও মানুষের জন্য সমান তালে কাজ করে গিয়েছেন সোনু। কোনও বিরাম ছিল না। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কোভিড ভ্যাকসিনেশনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার করেছেন।





