ঝরে পড়ছে ঢাই কিলোর হাত, প্রচণ্ড কষ্টে সানি দেওল; নিলেন বড় সিদ্ধান্ত
Sunny Deol: এ কী হয়ে গেল সানি দেওলের সঙ্গে। তাঁর ঢাই কিলোর হাত থেকে খসে পড়ছে পেশি। পাল্টাচ্ছে সেই হাতের গঠন। এবার কী করবেন সানি। বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সানি দেওল। মনের দুঃখ প্রকাশ করছেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র।
‘ঘায়েল’ ছবিতে অ্যাঙ্গরি ইয়ং ম্যান সানি দেওল একটি সংলাপ বলেছিলেন অমরীশ পুরিকে। ‘ইয়ে ঢাই কিলো কা হাত, জব কিসি পে উঠতা হ্যায়, তো আদমি উঠতা নেই, উঠ যাতা হ্যায়’… এটাই এখনও পর্যন্ত সানি দেওলের বলা সবচেয়ে জনপ্রিয় সংলাপ। যা তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোত হয়ে গিয়েছে। সানি দেওল এবং তাঁর ঢাই কিলোর হাত যেন প্রতিশব্দ। সেই ঢাই কিলোর হাত থেকে পেশি খোয়াতে শুরু করেছেন সানি। বেজায় যন্ত্রণায় আছেন অভিনেতা। বলেছেন, “আমার হাত থেকে পেশি কমছে, কী যে করি।”
বিদেশে গিয়েছিলেন সানি। সেখানে তিনি শরীরচর্চা করেছিলেন। ৬৬ বছর বয়স হয়েছে সানির। এই বয়সে চেহারায় পরিবর্তন আসতেই পারে। সানির চেহারাতেও এসেছে। তাঁর ঢাই কিলোর হাত থেকে পেশি কমেছে। বিদেশে তিনি ভালমন্দ খাওয়াদাওয়া করেছিলেন। ভাল মানের দুধ পান করেছিলেন। নিজের শরীরটাকে ‘গদর টু’-এর জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। সানি কিন্তু এক্কেবারেই দেশে ফিরে খুশি হলেন না। ভারতে পা রাখতেই শরীর ভাঙতে শুরু করে সানির। ঢাই কিলোর হাত থেকে কমতে শুরু করে পেশি। কাহাকত মেনে নেওয়া যায়। মানেননি সানি। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ফের শরীরের যত্ন নিতে শুরু করেছেন সানি। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং ভালমন্দ খাওয়াদাওয়া শুরু করেছেন। রসিকতা করে বলেওছেন, “আমার ঘরে গ্যালন-গ্যালন দুধ রেখে দিতে হবে।”
পঞ্জাবের জাট পরিবারের পুত্র সানি। তিনি সুপারস্টার ধর্মেন্দ্রর জ্যেষ্ঠপুত্র। পঞ্জাবীদের নিয়মিত খাওয়াদাওয়ার তালিকায় থাকে মদ। কেবল পুরুষরা নন, মহিলারাও মদ পান করেন। কিন্তু সানি এক্কেবারে ব্যতিক্রম ব্য়ক্তি। তিনি জীবনেও মদ-সিগারেট ছুঁয়েও দেখেন না। এই বিষয়টি তিনি নানা সাক্ষাৎকারে বলেছেন। বিষয়টি দারুণভাবে প্রভাবিত করে সানির অনুগামীদের।