Manali Dey: স্বামী পরকীয়ায় জড়ালে সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসব: মানালি ‘ফুলঝুরি’ দে
Dhulokona: পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়কে লকডাউনের মধ্যে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী মানালি দে।
স্নেহা সেনগুপ্ত
‘ধুলোকণা’ই এখন আকাশে-বাতাসে ভাসছে। টিআরপি তালিকায় লাগাতারভাবে শীর্ষস্থান দখল করে আছে এই বাংলা ধারাবাহিক। সেই সঙ্গে মহাসপ্তাহ চলছে মেগা সিরিয়ালটির। গল্পের নায়ক লালনের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে সম্প্রতি। ফুলঝুরির সঙ্গে বিয়ে ভেঙেছে তার। এই ছাড়াছাড়ির কারণ তিতির। তিতিরের প্রতি লালনের দুর্বলতা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি ফুলঝুরি। সে কিছুতেই চায়নি দু’নৌকোয় পা দিয়ে এগিয়ে চলুক লালন। কিন্তু হেরে যাওয়ার পাত্রীও নয় ফুলঝুরি। চোখের জল দু’হাতে মুছে গানকে সম্বল করে এগিয়ে যাবে সে। চরিত্রটি দারুণভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছে অভিনেত্রী মানালি দে। নিজ জীবনে এমন ঘটলে কী সিদ্ধান্ত নিত মানালি, জানিয়েছেন TV9 বাংলাকে।
TV9 বাংলা: টিআরপিতে একনম্বর হলে ঠিক কী রকম ফিলিংস হয়?
মানালি: আমি কিন্তু খুব বেশি টিআরপি নিয়ে চিন্তাভাবনা করি না। সব সময় নিজের সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে এটাও ঠিক, প্রশংসা পেতে সব সময়ই ভাল লাগে। দর্শকের ভাল লাগলে দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় ঘটে, টিআরপি বাড়লে যেরকম আরও ভাল কাজ করার ইচ্ছা বাড়ে, ঠিক তেমনই টিআরপি কমলে মনে হয় আরও ভাল পারফর্ম করে জায়গাটা ফিরে পেতে হবে।
TV9 বাংলা: আপনাকে তো আমরা দু’ধরনের চরিত্রে দেখি – একটা ধরন খুব চুলবুলি, অন্যটা খুবই দুঃখী… ফুলঝুরির চরিত্রটা এই দুয়ের মিশ্রণ…
মানালি: একেবারেই। পুরো বিষয়টাই ফুলঝুরির চরিত্রের মধ্যে আছে।
TV9 বাংলা: কোনটা ভাল লাগে বেশি – কাঁদতে না হাসতে?
মানালি: যখন যেটা চরিত্রের প্রয়োজন হয়।
TV9 বাংলা: কোনটার সঙ্গে ব্যক্তি মানালির মিল বেশি?
মানালি: মানালি তো হাসতে-খেলতে ভালবাসে। বেশি কথা বলতে পছন্দ করে। কিন্তু চরিত্র অনুযায়ী ফুলঝুরির যখন যেটা দরকার সেটাই করে। তখন সেটা করতে আমার কোনও অসুবিধাও হয় না।
TV9 বাংলা: লালনকে নিয়ে তো একটা টাগ অফ ওয়ার চলে, প্রথমে চড়ুই-লালন-ফুলঝুরি। তারপর এখন তিতির-লালন-ফুলঝুরি। দুই পাখি চড়ুই-তিতির। অন্য একজনকে বিয়ে করে অন্য ডালে বসেছে চড়ুই। সমস্যার নাম এখন তিতির…
মানালি: জলে ডুবে স্মৃতি হারিয়ে তারপর সেই স্মৃতির ফিরে পেয়েও লালন এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। তিতিরের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের সবটাই ওর মনে আছে। স্মৃতি ফিরে পাওয়ার পর পরিবার ও ফুলঝুরিকে মনে আছে। কিন্তু মুহূর্তগুলো বিলীন হয়ে গিয়েছে। তিতির ও তার পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত ওর মনে আছে। সেখান থেকে ক্রাইসিস তৈরি হয়েছে এবং এটা তো ভবিষ্যৎ বলবে লালন আদতে তিতিরের হবে নাকি ফুলঝুরির।
TV9 বাংলা: কিন্তু ফুলঝুরি যেটা স্ট্যান্ড নিয়েছে, সেটা হল লালনের দু’নৌকোয় পা দিয়ে চলা যাবে না…
মানালি: হ্যাঁ এবং ফুলঝুরি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে লালন যদি তিতিরের সঙ্গে ভাল থাকে, সে যেন সেটাই করে। লালনের ভাল থাকা তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সে ভাগাভাগি করতে পারবে না, কারণ দু’নৌকোয় পা দিয়ে তার জন্য চলা সম্ভব নয়।
TV9 বাংলা: জীবনের এই crisis যদি (hypothetically ভাবে ভাবলে) মানালির জীবনে ঘটে, তিনিও কি ফুলঝুরির মতোই সিদ্ধান্ত নেবেন?
মানালি: একদমই তাই করবে মানালি। আসলে লালন অসুস্থ। লালন যা করছে, পুরোটাই অজান্তে। এমনটা আমার জীবনে ঘটলে কিংবা যদি দেখি কোনও অসুস্থতার কারণে আমার স্বামী এমন করছে, তা হলে আমি তাঁর কাউন্সেলিং করাব। ছেড়ে চলে যাব না। কিন্তু যদি দেখি অসুস্থতার কারণে নয়, এমনিই তাঁর অন্য কাউকে ভাল লেগেছে, তা হলে ফুলঝুরি যা করেছে আমিও তাই করব। আমিও স্বামীকে ছেড়ে দেব।