Durga Puja 2021: কাশ্মীরে ক্ষীর ভবানীর মন্দিরে দেব অষ্টমীর পুজো: ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়
Durga Puja 2021: যেমন সিনেমায় আমরা দেখি, পুজোর সময় বাড়ির সবাই এসে এক জায়গায় হচ্ছেন। আমাদের বাড়িতেও তাই হয়। গতবার তো জুম কলে আমি সকলকে অঞ্জলি দেখিয়েছিলাম। যারা আসতে পারেনি, নিজেদের জায়গায় বসে জুম মিটে অঞ্জলি দিয়েছিল।
এ বার পুজোর পরিকল্পনা একদম অন্যরকম। চললাম কাশ্মীর। দুটো কাজ করতে। এক ওখানকার বিখ্যাত ভবানী মন্দিরে অষ্টমী পুজো দেব। মা রাগিনীর এই মন্দিরে যে স্যাক্রেড স্প্রিং আছে, সেই জলের রং বদলায়। কখনও লাল, কখনও নীল। স্বয়ং স্বামীজি তা দেখে এসেছিলেন। কথিত আছে রাবণের প্রতিষ্ঠা করা মায়ের এই রূপ হনুমানজি শ্রীলঙ্কা থেকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন মায়ের ইচ্ছেতেই।
দ্বিতীয় কাজটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার এক বন্ধু তার কাকার বিয়েতে নেমন্তন্ন করেছে। সেখানে আমাকে কাশ্মীরি গান গাইতে হবে। বাঙালি হয়ে এমন সুযোগ খুব একটা আসে না। তাই না বলার কোনও জায়গা নেই।
তবে এই প্ল্যানটা হ্ঠাৎ করেই করলাম। আগে থেকে ভাবিনি। বন্ধু অনেকদিন ধরেই বলছিল, ‘কাকার বিয়েতে চলো। গান গাইবে’। আমাদের বাড়ির পুজোর ব্যাপারও আছে। তবুও ওই ভবানী মন্দিরের লোভটা সামলাতে পারলাম না। বাবাও যাবেন আমার সঙ্গে। গত এপ্রিলেই গিয়েছিলাম কাশ্মীর। পুজোর প্ল্যান শুনে বাবা বললেন, ‘আবার কাশ্মীর যাবি তুই?’ তারপর সব শুনে বললেন, ‘আমিও তো দেখিনি, দেখে আসি চল…’।
আমাদের বাঁকুড়ার বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। এ বছর ৭৯ বছর হল। প্রত্যেকবারই যাই। পুজোতে কলকাতায় থাকি না। বাঁকুড়াতে চলে যাই। কিন্তু কাশ্মীরে গিয়ে দুর্গাপুজোর একটা আলাদা ব্যাপার আছে। আমি যতদূর জানি, ওখানে দুর্গাপুজো তো তেমন ভাবে হয় না। ওখানে দশেরা হয়। ওখানকার যে সব হিন্দু মন্দির রয়েছে, সেখানে দশেরা পালিত হয়। একেবারে অন্যরকম কাটবে আমার এই বছরের পুজো।
বাঁকুড়ায় আগের বছর কোভিডের মধ্যেও গিয়েছিলাম। আমি আর বাবা। আমাদের অনেক বড় পরিবার। গতবার কোভিডের জন্যই অনেকে আসতে পারেননি। এ ভারও কোভিডের জন্যই বিশেষ কেউ আসতে পারবেন না হয়তো। বাবারা সাত ভাই বোন। বাবার দাদু এই পুজো শুরু করেছিলেন। আত্মীয়রা বেশিরভাগই কলকাতার বাইরে থাকেন। মুম্বই, দিল্লি, ফরিদাবাদ, ইউএস, অস্ট্রেলিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছেন আমাদের সব আত্মীয়। যেমন সিনেমায় আমরা দেখি, পুজোর সময় বাড়ির সবাই এসে এক জায়গায় হচ্ছেন। আমাদের বাড়িতেও তাই হয়। গতবার তো জুম কলে আমি সকলকে অঞ্জলি দেখিয়েছিলাম। যারা আসতে পারেনি, নিজেদের জায়গায় বসে জুম মিটে অঞ্জলি দিয়েছিল।
এমনিতে বাড়ির পুজো ছেড়ে যাই না। কিন্তু ক্ষীর ভবানীর মন্দিরের অন্য আকর্ষণ রয়েছে। অষ্টমীর দিন ওখানেই থাকব। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল, যেই যাক না কেন প্রসাদ হিসেবে ক্ষীর দেওয়া হয়। ক্ষীর ভবানী মন্দির ওই জন্যই নাম হয়েছে। এটা শ্রীনগর থেকে একটু বাইরে। চট করে ওদিকে যাওয়া হয় না। আমার যে বন্ধু সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছে, সামনের বছর ওর সঙ্গেই অমরনাথ যাওয়ার প্ল্যান আছে। ও আমাকে বলেছে, ‘ভাই আপ অকেলা মাত জানা, মেরে কো সাথ লেকে জানা…।’
আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: পুরনো ছবি শেয়ার করে কেন মিমিকে শুভেচ্ছা জানালেন ঋতাভরী?
আরও পড়ুন, Aryan Khan drug case: আরিয়ান গ্রেফতারের পর শাহরুখের বিজ্ঞাপনে কোপ!