US Tariff: ‘বন্ধু’ মোদীর জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট, কোন দেশের উপরে কত শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প?
US Imposed Tariffs on India: ভারত ও চিনের ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় ভাব দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দুই দেশ আমেরিকার থেকে যে হারে শুল্ক নেয়, তার অর্ধেক শুল্ক বসানো হল বলেই জানিয়েছেন ট্রাম্প।

ওয়াশিংটন: যেমন কথা, তেমন কাজ। সত্যি সত্যিই সমস্ত দেশের উপরে ট্যারিফ বা শুল্ক বসালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাদ পড়ল না ভারতও। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেই ভারতের উপরে ২৬ শতাংশ শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
আগেই জানিয়েছিলেন, ২ এপ্রিল শুল্কের খাঁড়়া নামতে চলেছে। কথা রেখেই সেই শুল্ক ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বড় একটি বোর্ডে তিনি দেখান কোন দেশের উপরে কত শতাংশ শুল্ক চাপানো হচ্ছে। ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক রাখা হয়েছে। সর্বাধিক শুল্ক ৪৯ শতাংশ, যা কম্বোডিয়ার উপরে চাপিয়েছেন ট্রাম্প। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।
ভারত ও চিনের ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় ভাব দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দুই দেশ আমেরিকার থেকে যে হারে শুল্ক নেয়, তার অর্ধেক শুল্ক বসানো হল বলেই জানিয়েছেন ট্রাম্প। এবার থেকে ভারতের পণ্যের উপরে ২৬ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হবে। চিনের পণ্যে ৩৪ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসাচ্ছে আমেরিকা।
ভারতের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারতের ট্যারিফ খুব খুব কঠিন। ওদের প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদী) সদ্য মার্কিন সফর সেরে গিয়েছেন…উনি আমার খুব ভাল বন্ধু, কিন্তু আমি ওঁকে বলেছিলাম, তুমি আমার বন্ধু, কিন্তু আমাদের সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করছ না। ভারত আমাদের থেকে ৫২ শতাংশ শুল্ক নেয়। আমরা তার অর্ধেক, ২৬ শতাংশ শুল্ক নেব।”
কোন দেশে কত শুল্ক?
- ভারতের উপরে ২৬ শতাংশ, চিনের উপরে ৩৪ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প। অন্য দেশেও নেমেছে শুল্কের কোপ।
- ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের উপরে ২০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প।
- ব্রিটেনের উপরে ১০ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন।
- জাপানের উপরে ২৪ শতাংশ ট্যারিফ বসিয়েছেন।
- দক্ষিণ কোরিয়ার উপরে ২৫ শতাংশ ট্যারিফ বসিয়েছেন।
- ব্রাজিল, তুরস্ক থেকে ইউক্রেন, কাতার ও বাহরিনেও ১০ শতাংশ ট্যারিফ বসিয়য়েছেন।
- পাকিস্তানের উপরে ২৯ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন।
- শ্রীলঙ্কার উপরে ৪৪ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছেন ট্রাম্প।
- আপাতত কানাডা ও মেক্সিকোর উপরে কোনও শুল্ক বসাননি ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আলাদাভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে আমেরিকায় তৈরি না হওয়া, বিদেশ থেকে তৈরি সমস্ত গাড়ির উপরে ২৫ শতাংশ করে শুল্ক বসানো হবে।





