Udit Narayan Kumar Sanu: শানুর জীবনে বান্ধবীদের আনাগোন নিয়ে গোপন তথ্য দিলেন উদিত?
Udit Narayan Kumar Sanu: কপিলের শোয়ে ‘ধীরে ধীরে সে মেরি জিন্দেগি মে আনা’ গেয়েছেন শানু। এই গানের সূত্র ধরেই মজা করতে শুরু করেন উদিত।
কুমার শানু এবং উদিত নারায়ণ। প্রায় সমসাময়িক এই দুই সঙ্গীতশিল্পী। একসঙ্গে গানের মঞ্চে যেমন তাঁদের দেখা যায়, তেমনই একে অপরের সঙ্গে মজা করার সুযোগও ছাড়েন না। সদ্য ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-তে অনুরাধা পাড়োয়ালের সঙ্গে হাজির ছিলেন এই দুই শিল্পী। সেখানেই শানুর সঙ্গে বান্ধবীদের নিয়ে মজা করলেন উদিত!
কপিলের শোয়ে ‘ধীরে ধীরে সে মেরি জিন্দেগি মে আনা’ গেয়েছেন শানু। এই গানের সূত্র ধরেই মজা করতে শুরু করেন উদিত। তিনি শানুর উদ্দেশে বলে, ‘ধীরে ধীরে কতজন ওর জীবনে এল, চলেও গেল। এখনও আরও অনেকে আসবে। এখনও ওর মন ভরেনি।’ দুই বন্ধুর এই খুনসুটিতে আনন্দ পেয়েছেন দর্শক।
শোয়ের হোস্ট কপিল সারাক্ষণই মজা করতে থাকেন। এর আগে ছেলে আদিত্য নারায়ণের সঙ্গে ওই শো অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন উদিত। সে সময় জানা গিয়েছিল, বাড়িতে নাকি শুধুমাত্র টাওয়েল পরে ঘোরাঘুরি করেন উদিত! কপিল সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদিতকে প্রশ্ন করেন, “এখন তো বাড়িতে বউমা এসে গিয়েছেন। নিশ্চয়ই আপনার খুব সমস্যা হচ্ছে।” এর উত্তরে মজা করে উদিত বলেন, “আমি এখনও টাওয়েল পরেই থাকি। আমি কৃষক সন্তান। এটাই আমার অভ্যেস। এটা পরিবর্তন হওয়ার নয়।” সে সময় মজা করার সুযোগ ছাড়েননি কুমার শানুও। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বলেন, “ও কৃষক সন্তান। কখনও খেত দেখেনি, কিন্তু টাওয়েল দেখে নিয়েছে।”
কুমার শানুর মিউজিক কেরিয়ারের বিস্তার নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। তবে কেরিয়ারের শুরুতে যে ইন্ডাস্ট্রি দেখেছিলেন শানু, এখন তার বদল ঘটেছে অনেকটাই। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে শানু বলেছিলেন, “গান গাওয়ার ধরন বদলেছে। আমরা টেকনিক্যালি অনেক উন্নত হয়েছি ঠিকই। কিন্তু গানের যে আত্মা, তা কোথাও মিসিং। ৯০-এর দশকে কত ছবি গানের জন্যই হিট হত। প্রযোজকরাও গানের ভিতরের মনটাতে জোর দিতেন। এখন আর তা নেই।”
কুমার শানু মনে করেন, আগে সঙ্গীতশিল্পীদের সাধারণ মানুষ যত শ্রদ্ধা করতেন, এখন তা আর নেই। এমন নয় যে, তাঁদের সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করেন, কিন্তু আগের মতো সঙ্গীতশিল্পীদের প্রতি সাধারণ শ্রোতা শ্রদ্ধাশীল নন, এটাও মনে হয়েছে তাঁর। এই মুহূর্তে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে যে ভাবে কাজ হয়, তার ধরন নিয়ে আপত্তি রয়েছে শানু। তিনি শেয়ার করেছিলেন, “এখন একটা গান অনেক শিল্পীকে দিয়ে গাওয়ানো হয়। ফলে শেষ পর্যন্ত তাঁর ভার্সন ব্যবহার করা হবে কি না, সে সম্পর্কে গায়কও নিশ্চিত হতে পারেন না। এটা কোথাও শিল্পীর অসম্মান। পরিচালক বা প্রযোজকের কোনও শিল্পীর প্রতি অনাস্থা এতে প্রকাশ পায়।”
আরও পড়ুন, Krushna Abhishek Govinda: এক সঙ্গীতশিল্পীকে দেখে মামা গোবিন্দার কথা মনে পড়ল ক্রুশ্মার!