Secret Of Mir: ‘এই লোক হাসানোর কারবারটা আমার হাসি কেড়ে নিচ্ছে’, কেন ‘মীরাক্কেল’ ছাড়লেন মীর?
Mirakkel: যদিও মীর এই বিষয় কারও ওপর দোষ চাপাতে রাজি নন। বলেন, “এরজন্য আমি কোনও মানুষ কোনও অমানুষ অর্থাৎ সংস্থাকে দায়ী করি না।
বাংলায় কমেডি শো খুব একটা সচরাচর দেখা যায় না। তাই দর্শকের মনে প্রথম দিন থেকেই জায়গা করে নিয়েছিল মীর আফসার আলির মীরাক্কেল। এক ঘণ্টার হাসির সফলে সামিল থাকতেন সকলেই। ব্যান্ডেজকে সঙ্গে নিয়েই মীরের শো-তে চলত হুল্লোর হইচই। তবে টানা ১০টা সিজ়নের পর কেন সরে দাঁড়ালেন মীর? কোনও রাখঢাক ছাড়াই আরজে সৌমকের প্রশ্নের উত্তর দিলেন মীর। চলো বসা যাক পডকাস্ট শো-তে মুখ খুললেন মীর। শো প্রসঙ্গে মীর বলেছিলেন, “আসলে এটা শুরু হয়েছিল খুব মীরাক্কেলের মতোই, মুম্বই থেকে ফিরে ভেবেছিলেন বাংলায় শুরু হয়। ১৫ বছর কেটে গিয়েছে। মোট দশটা সিজ়ন, কোথাও থামতে হবে, আমি আর লোক হাসাতে পারছি না।”
এরপর তিনি মজা করে বলেন, “যদিও পাড়ার লোকজন আমার মা বাবাকে বলতেন তোমার ছেলে বড় হয়ে লোক হাসাবে, সেটা যে আমি এতটা সিরিয়াসলি নিয়ে নেব, আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্তু দেখলাম এই লোক হাসানোর কারবারটা আমার হাসি কেড়ে নিচ্ছে। আর কোথাও গিয়ে না আমি খুব ক্লান্ত বোধ করছিলাম। কোনও পগ্রেস ছিল না। তারপর দেখলাম, সমস্ত কিছুর প্রগেস হচ্ছে, কিন্তু এই শো নিয়ে একটা অনিহা। যাঁরা আসছে তাঁদের মধ্যেও সেই স্পার্কটা নেই। কমেডিটা খুব সিরিয়াস ব্যবসা। সেখানে ইয়ার্কিটা চলে না। কয়েকটা সিজ়ন আগে থেকেই আমারও ইচ্ছেটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।”
যদিও মীর এই বিষয় কারও ওপর দোষ চাপাতে রাজি নন। বলেন, “এরজন্য আমি কোনও মানুষ কোনও অমানুষ অর্থাৎ সংস্থাকে দায়ী করি না। সিজ়ন ছয় যেভাবে নাম করেছিল, তারপর থেকে আর কোনও সিজ়ন এতটা ভাল হয়নি। সব শো-এর ওঠা পড়া আছে। কিন্তু এই শো ক্রমেই নামতে থাকে। একে তো নিজে নিচে নামছি, তারপর একটা গোটা শো নিয়ে নিচে নামবো! খাদের কিনারে পৌঁছনোর আগেই ভাবলাম ছেড়েদি। এরপর একটা দিন আসত যখন চ্যালেনই এই সিদ্ধান্তটা নিত। তোমার দ্বারা তো কিছু হচ্ছে না বাপু, তুমি ছেড়ে দাও, চ্যানেল এটা বলার আগে আমি ছেড়ে দিলাম।”