School: এটা নাকি স্কুল! রান্নাঘরেই চলে ক্লাস, আর ক্লাসরুমে শুয়ে থাকে পুলিশ
School: এলাকাবাসীর একাংশ স্কুল বন্ধ করার পিছনে শুধুমাত্র পুলিশ ক্যাম্পকেই দায়ী করতে নারাজ। স্থানীয় বাসিন্দা শিবু জানা বলেন, "স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই। ফলে অভিভাবকরা সন্তানদের এখানে ভর্তি করাতে চাইছেন না।"

সবং: পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের ১১ নম্বর মোহাড় অঞ্চলের দুবরাজপুর পূর্ব মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র। স্কুলটি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমদিকে ভালভাবেই চলছিল। বর্তমানে এই স্কুলের ছাত্রসংখ্যা প্রায় শূন্য। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর ভোট-পরবর্তী হিংসার কারণে সেখানে পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়। মাঝে আরও একটি লোকসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই ক্যাম্প আজও বহাল।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্কুলটিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা মাত্র পাঁচজন। অথচ তারা স্কুলেই যায় না নিয়মিত। স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক অনন্ত খাটুয়া জানান, স্কুলে তিনটি ঘর রয়েছে। যার মধ্যে দুটি ঘরই থাকে পুলিশের দখলে। ফলে শিক্ষার্থীরা এলে ক্লাসরুমের অভাবে কখনও রান্নাঘরে বসিয়ে পড়াতে হয়। তিনি বলেন, “আমরা বহুবার সংশ্লিষ্ট দফতরে পুলিশ ক্যাম্প তুলে নেওয়ার আবেদন করেছি, কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি।”
তবে এলাকাবাসীর একাংশ স্কুল বন্ধ করার পিছনে শুধুমাত্র পুলিশ ক্যাম্পকেই দায়ী করতে নারাজ। স্থানীয় বাসিন্দা শিবু জানা বলেন, “স্কুলে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই। ফলে অভিভাবকরা সন্তানদের এখানে ভর্তি করাতে চাইছেন না।”
সবং ব্লকে মোট ২১টি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, যা পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে পরিচালিত হয়। সবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌসুমী দাস বলেন, “শুধু এই স্কুল নয়, বেশিরভাগ মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রই বন্ধ হওয়ার মুখে। পাশেই উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকায় ছাত্রছাত্রীরা সেদিকেই ঝুঁকছে। তবুও, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে স্কুলটি পুনরায় সচল করা যায়, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”





