Jaundice: সুকান্তপল্লীতে ক্রমেই ছড়াচ্ছে জন্ডিস, এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ২৪
Jaundice: এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাধারণ মানুষ। ঘটনাস্থলে সিএমওএইচ (CMOH) সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা।

মেদিনীপুর: একজন-দু’জন নয়। জন্ডিসের কবলে পড়েছেন চব্বিশ জন। পানীয় জল থেকে এই সংক্রমণ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। আতঙ্কিত মেদিনীপুর শহরের সুকান্ত পল্লী এলাকায়। এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাধারণ মানুষ। ঘটনাস্থলে সিএমওএইচ (CMOH) সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা।
মেদিনীপুর পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লি এলাকায় প্রায় ২৪ জনের জন্ডিসের সংক্রমণ! তড়িঘড়ি এলাকায় এল স্বাস্থ্য দপ্তর সহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। এই সংক্রমণ ছড়ানোর পরেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উপরে দিলেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় না। এলাকায় সংক্রমনের খবর আগেই কাউন্সিলরকে জানানো হলেও তিনি কোন পদক্ষেপ করেননি। আর সেই কারণেই এত বড় সমস্যায় পড়তে হলো তাদের। তৃণমূল কাউন্সিলর অবশ্য দায় চাপিয়েছেন স্থানীয় মানুষদের উপরেই। সচেতনতা নেই সে কারণেই এত বড় ঘটনা! দাবি স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী হাজেরার।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পানীয় জল থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই একটি সাবমার্সিবল পাম্প থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি পানীয় জলের ট্যাপ সিল করা হচ্ছে। সমস্ত ট্যাপ ও সাবমার্সিবল পাম্প থেকে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হচ্ছে পরীক্ষার জন্য।
গোটা ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবারই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশংকর সারেঙ্গী, মেদিনীপুরের মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখোপাধ্যায়, পৌর প্রধান সৌমেন খান সহ জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। গোটা ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে রীতিমতো আতঙ্কের ছায়া। সিএমওএইচ বলেন, “২২ নম্বর ওয়ার্ডে জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এখনও অবধি ২৪টা কেস বেরিয়েছে। পুরো ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিকই আছে।” কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরা বলেন, “গত সাত দিন ধরে আমি রোজ আসছি। স্বাস্থ্য ক্যাম্পে আছি। মন্দির থেকে রাস্তা সব কিছুতেই আসি।”





