Ghatal: ‘২৬এর নির্বাচনের আগে মাস্ট্রার স্ট্রোক! ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এবার বাস্তবায়নের পথে
Ghatal: স্লুইলস গেটের পাশেই তৈরি হবে পাম্প হাউজ। শুরু হয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের কাজ।স্লুইলিস গেট তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি ঘাটালবাসী।

ঘাটাল: বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু হয়েছিল জমি জট নিয়ে একটা সমস্যা। সে সব কাটিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের কাজ। ১৯ কোটি টাকা খরচে পাঁচটি স্লুইস গেট পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি ঘাটালবাসী ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে শুরু হয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রুপায়নের কাজ। ঘাটালের গোবিন্দপুর, দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের কৈজুরি, কুমারচক, রানিচক এবং জোতকানুরামগড় এলাকায় চলছে স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ। স্লুইস গেট নির্মাণের ফলে নদীগুলিতে জলের চাপ বাড়লে একদিকে যেমন জল বের করে অন্য নদীতে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা হবে, অপরদিকে এলাকায় জমে থাকা বর্ষার জল চলে আসবে নদীতে। এই পাঁচটি স্লুইস গেট নির্মাণের কাজে যাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন না হয় তার জন্য তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী রাস্তা।
স্লুইলস গেটের পাশেই তৈরি হবে পাম্প হাউজ। শুরু হয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের কাজ।স্লুইলিস গেট তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি ঘাটালবাসী।
আগে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে যুক্ত ছিল ঘাটাল পুরসভা, ঘাটাল গ্রামীণ, দাসপুর ১ ও ২, ডেবরা, পাঁশকুড়া পশ্চিম, তমলুক-১, পাঁশকুড়া পুরসভা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে যুক্ত হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের আরও তিনটি ব্লক। কেশপুর এবং চন্দ্রকোণা ১ ও ২ ব্লককে প্রকল্পে যুক্ত করার কথা বিধানসভায় জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
এতদিন পর এবার কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন ঘাটালবাসী। বিশ্বনাথ দোলুই নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “বর্ষার সময় তো আগে এখান থেকে জল বের হত না। এই গেট হওয়ার ফলে বর্ষার সময়ে জল বের করে দেওয়া যাবে।”
টাল পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজন কুলভী বলেন, “আমদের তো জন্মের আগে থেকেই এই বিষয়টা নিয়ে কথা চলছিল। এবার তা বাস্তবায়নের পথে। নির্বাচনের আগে যে কথা বলেছেন, সময়ের মধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়েছে।”
ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “মোট ৫ টি গেটের কাজ চলছে।দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে। আশা করা যায়, বর্ষার আগেই কাজ শেষ করা যাবে। জমি কেনার কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে। কয়েকজন জমিদাতা সম্মতিপত্র দিয়েছে। “





