‘ঠিক এভাবেই তোমায় আজীবন মনে রাখতে চাই’

আবেগঘন কৃতি। 'রাবতা'র সেটেই প্রথম দেখা সুশান্তের সঙ্গে। ছবি হিট হয়নি তবে অফস্ক্রিন ক্লিক করে গিয়েছিল তাঁদের কেমিস্ট্রি।

'ঠিক এভাবেই তোমায় আজীবন মনে রাখতে চাই'
সুশান্তের মৃত্যুর পর ইনস্টাগ্রামে এই ছবিই শেয়ার করেছিলেন কৃতি।
Follow Us:
| Updated on: Jan 21, 2021 | 5:07 PM

তাঁর প্রিয় ‘সুশ’-এর আজ জন্মদিন। কিন্তু ‘সুশ’-এর দেখা মিলবে না আর কোনওদিন। তবু স্মৃতি হাতড়ে আজ তাঁর হাসিমুখটাই বারে বারে মনে পড়ছে অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননের। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের জন্মদিনে কৃতি তাই স্মৃতিমেদুর।

সুশান্তের একমুখ হাসিওয়ালা এক ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে কৃতি লিখছেন, “ঠিক এ ভাবেই তোমায় মনে রাখতে চাই… শিশুর মতো হাসছ… শুভ জন্মদিন সুশ। আশা করছি, যেখানেই রয়েছে এ ভাবেই হাসিখুশি ও শান্তিতে রয়েছ তুমি”। সুশান্তের শেষ যাত্রায় বলিপাড়ার যে কয়েক জন হাতেগোনা সেলেব হাজির হয়েছিলেন কৃতি ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। সুশান্তের মৃত্যু ছিল অস্বাভাবিক। মৃত্যুর সময় কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি। মানসিক ভাবে এবং শারীরিক ভাবে। ওই সব তিক্ত স্মৃতি মনে রাখতে চান না কৃতি। মনের ক্যানভাসে সাজিয়ে রাখতে চান সদা হাস্যময় সুশকেই।

View this post on Instagram

A post shared by Kriti (@kritisanon)

সুশান্তের যে ছবি শেয়ার করেছেন কৃতি, সেই ছবিতেই এক দিকে লেখা, “যখন এখানে এসেছিলাম… দেখলাম শুধু তোমার কথাই ভাবছি”। সরসরি না বললেও কৃতি কি বুঝিয়ে দিলেন সাত মাস কেটে গেছে ঠিকই তবে আজও প্রতি মুহূর্তে তাঁর মনে পড়ে সুশান্তকে? মনে পড়ে ‘রাবতা’র কথা? কৃতির সঙ্গে সুশান্তের আলাপ ‘রাবতা’ ছবির সেটে। ছবি হিট হয়নি তবে অফস্ক্রিন ক্লিক করে গিয়েছিল তাঁদের কেমিস্ট্রি।

View this post on Instagram

A post shared by Kriti (@kritisanon)

i কেউ বলেন প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। আবার কারও বক্তব্য প্রেম নয়, শুধুই বন্ধুত্ব। প্রেম-বন্ধুত্ব যাই হোক না কেন, একে অন্যের কাছের মানুষ ছিলেন কৃতি-সুশান্ত। সুশান্ত মারা গেলে ইনস্টাগ্রামে মন উজাড় করে একটি পোস্ট করেছিলেন কৃতি। লিখেছিলেন, “আমি জানতাম, তোমার ওই মনই তোমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু, একইসঙ্গে শত্রুও। … যারা তোমায় ভালবাসত তাঁদের দূরে সরিয়ে না দিলেও পারতে। তোমার ভাঙা মনটাকে যদি জুড়ে দিতে পারতাম সুশ…আমি পারিনি। যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার হৃদয়ের অর্ধেক নিয়েও চলে গিয়েছ তুমি…।”

পোস্টের পরতে পরতে মিশে ছিল এক অদ্ভুত বিরহবেদনা। সাত মাসে নিজেকে অনেকটাই সামলে নিয়েছেন কৃতি। এখন তাঁর একটাই প্রার্থনা ওপারে যেন হাসিখুশি থাকে আদরের ‘সুশ’।