Aparajita Auddy: দৈববাণীতে অপরাজিতার বিয়ে? TV9 বাংলাকে শিহরণ জাগান কাহিনি শোনালেন অভিনেত্রী

Lakkhi Puja: তাঁর বিয়ে থেকে শুরু করে, লক্ষ্মী প্রতিমার সাজ, সবটার সঙ্গেই এমন নানা অলৌকিক কাহিনি জড়িয়ে রয়েছে, যা শুনলে হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবেন না। তবে সেই দৈব্যবাণী মেনেই কিন্তু আজ অপরাজিতা আঢ্য এই পরিবারের বউ। লক্ষ্মী পুজোর দিন TV9 বাংলার প্রতিনিধি বিহঙ্গী বিশ্বাসকে সেই কাহিনি শোনালেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। 

Aparajita Auddy: দৈববাণীতে অপরাজিতার বিয়ে? TV9 বাংলাকে শিহরণ জাগান কাহিনি শোনালেন অভিনেত্রী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2023 | 7:15 PM

বিহঙ্গী বিশ্বাস

১৯৮৯ সাল থেকে চলছে অপরাজিতা আঢ্যর বাড়ির লক্ষ্মীপুজো। দিন দিন তা নিজে হাতে গুছিয়ে আরও বড় করে তুলেছেন অভিনেত্রী। তবে তাঁর বিয়ে থেকে শুরু করে, লক্ষ্মী প্রতিমার সাজ, সবটার সঙ্গেই এমন নানা অলৌকিক কাহিনি জড়িয়ে রয়েছে, যা শুনলে হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবেন না। তবে সেই দৈববাণী মেনেই কিন্তু আজ অপরাজিতা আঢ্য এই পরিবারের বউ। লক্ষ্মী পুজোর দিন TV9 বাংলার প্রতিনিধি বিহঙ্গী বিশ্বাসকে সেই কাহিনি শোনালেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য।

কীভাবে শুরু অপরাজিতার হাতে লক্ষ্মীপুজো?

অপরাজিতা: প্রথমদিকের লক্ষ্মীপুজো ছোট্ট করেই হত। বড় ঠাকুর মশাই আসতেন, যিনি আমাদের বিয়ে দিয়েছিলেন। আমার বিয়ে তো হঠাৎ করে স্থির হয়েছিল, আমরা ঠিক করেছিলাম বিয়ে করব। তারপরই মা অফিস থেকে এসে, ঠাকুরমশাইকে নিয়ে চলে এলেন, আমাদের ঠাকুরমশাইয়ের অনেক Power ছিল। সেদিন তিনি বলেছিলেন, এটা বড় ভাল হল। তারপর তো বাড়িতে অশান্তি, হুলুস্থূল চলল…। তখন আমি নিত্য গীতা পাঠ করতাম। দেখতে দেখতে চলে এল লক্ষ্মীপুজো। আমার শাশুড়ি আমায় জানালেন, এই লক্ষ্মী ঠাকুরকে কুমোরের কাছে নিয়ে গিয়ে সাজিয়ে আনার কথা। তখন লক্ষ্মী ঠাকুরের গায়ে শোলার গহনা। আমি বললাম ‘নিয়ে যাও’। ও-মা, সারা জায়গায় কোথাও কুমোর খুঁজে পেলেন না মা। তখন মা চিন্তায় বললেন, মা লক্ষ্মীর পুরোনো শাড়ি পরেই পুজো হবে? আজ আমাদের এত কিছু আছে, তখন তো এত সরঞ্জাম ছিল না। নিজেদের শাড়ি কেটে, নিজেদের গহনা বার করে, তা ভেঙে মাকে এমন সাজান হল, এমন সেজে গেলেন মা লক্ষ্মী, সবাই দেখে অবাক হয়ে গেল। মায়ের লুক পাল্টে গেল। তবে মা তো মাটির ছিল। দিন দিন সেটাকে সাজাতে সাজাতে, আজ সেটা পাথরের মতো হয়ে গিয়েছে।

এই পরিবারে কি লক্ষ্মী ঠাকুরের কোনও অলৌকিক মহিমার গল্প রয়েছে? 

অপরাজিতার শাশুড়ি মা: আমার বলা হয়তো উচিত হবে না। আমি পরিষ্কার বলে উঠতে পারব না। ওর যখন আসা যাওয়া চলছে বাড়িতে, তখন এক অলৌকিক ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই আমি দুই লক্ষ্মীকেই পাশে নিয়ে থাকি।

এরপর বাকিটা জানালেন অপরাজিতা। তাঁর কথায়, খুব কম দিনের আলাপে তো আমার বিয়ে হয়েছে। আমি শুটিং থেকে এখানে এসেছিলাম। এখানে দুটো খেয়ে বরের সঙ্গে গল্প করে চলে যাই। মা সেদিন অফিসে গিয়েছিল। মা-বাবা দুজনেই তখন চাকরি করতেন। সেদিন এমন এক ঘটনা ঘটে, যার ফলে পরের দিন আমার স্বামী আমায় গিয়ে বলেন, ‘চল বিয়ে করেনি আমরা’। একমাসের মধ্যে আমাদের বিয়েটা হয়। মানে এটা দৈব্যবাণী পাওয়ার মতোই।

অপরাজিতার লক্ষ্মী প্রতিমার পোশাক পাঠিয়েছেন নারায়ণ? 

সমস্ত ঘটনাই যখন ঘটে, তখন তার পিছনে কোনও কারণ থাকে। নয়তো এত বড় বিশ্ব, কারও সঙ্গে কারও কেন দেখা হয়? আমি এক বোনের বাড়ি গিয়েছিলাম, যাঁর বাড়ি মায়াপুরে, মায়াপুরের মন্দিরের ভিতরেই বলা চলে, তাঁর ওখানে গোপাল আছে। সেই গোপাল খুব জাগ্রত, তাঁকে সবাই সেখানে গোপালের মা বলেই ডাকে। সেও তাই বিশ্বাস করে। সেই আমায় বলেছি, তোমার লক্ষ্মী ঠাকুরের জন্য আমার গোপালের যেখান থেকে পোশাক আসে, সেখান থেকে পোশাক আনব তোমার গোপালের জন্য। ও যখন আমায় পোশাকটা পাঠায় (পুজোর আগেই পাঠিয়েছিল) আমি খুলে দেখে ভেবেছিলাম, এত বড় পোশাক আমি পরাব কীভাবে? আমি অদ্ভুতভাবে দেখলাম, যখন আমি পোশাক পরালাম, সেটা গায়ে ঠিক-ঠিক হল। গহনাগুলোর ঝুলও একেবারে ঠিক। ঝটপট আমার মা সেজে নিলেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে জানালাম, তখন ও আমায় বলল, ওর বর ওকে পাঠিয়েছে, এটা ওদের স্বামীর-স্ত্রীর ব্যাপার।