Dipankar De: বাংলায় খলনায়িকা নেই, অনামিকা টুকটাক বাড়ির দজ্জাল বৌ-টৌ করত: দীপঙ্কর দে 

Dipankar De: TV9 বাংলায় চলছে সিরিজ 'নায়ক নহি, খলনায়ক হুঁ ম্যায়'। আর এই সিরিজের আজকের খলনায়ক দীপঙ্কর দে। অজস্র ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? শুনুন তাঁর মুখেই।

Dipankar De: বাংলায় খলনায়িকা নেই, অনামিকা টুকটাক বাড়ির দজ্জাল বৌ-টৌ করত: দীপঙ্কর দে 
গ্র্যাফিক্স- অভিজিৎ বিশ্বাস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 12, 2023 | 9:30 AM

বিহঙ্গী বিশ্বাস 

প্রশ্ন: প্রথম ‘খলনায়ক’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ কবে?

দীপঙ্কর: (একটু ভেবে) যতদূর মনে পড়ছে ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ দিয়ে শুরু হয়। খলনায়ক হিসেবে ওটাই বোধহয় আমার আত্মপ্রকাশ।

প্রশ্ন: একই সঙ্গে খলনায়ক, পরের ছবিতে নায়ক—কাজটা শক্ত ছিল?

দীপঙ্কর: একেবারেই নয়, আমাদের তো ওই সুইচ-অন আর সুইচ-অফ করা কাজ। আমার আসলে দু’টো আলাদা মানসিক কমপার্টমেন্ট আছে। সেখানে কখনও আমি হিরো, কখনও ভিলেন।

প্রশ্ন: আর ইমেজ? লোকেও তো অনেকসময় ওইরকমই ভেবে ফেলেন আসল মানুষটিকে?

দীপঙ্কর: আজ যদি একটা খুনির চরিত্রে অভিনয় করি, তবে কি সত্যি-সত্যিই আমি খুন করে ফেলব? লোকে তো কত কিছুই মনে করে। আর তাঁরা কী ভাববেন, কীভাবে অন্যকে জাজ করবেন, সে দায়িত্ব তাঁদের।

প্রশ্ন: যাত্রা-নাটকের মঞ্চে এর প্রভাব পড়েনি?

দীপঙ্কর: সে সময় চুটিয়ে যাত্রা করছি। অনেক গ্রামে গিয়েছি। মঞ্চে উঠলেই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হত। যাত্রামোদী দর্শক সব সময়ই ভিলেনের মুখের সংলাপ শুনতে চাইতেন। নাটকের ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক হলেও আমাকে বলতে হত।

প্রশ্ন: নিজের করা প্রিয় ভিলেন চরিত্র কোনটি?

দীপঙ্কর: স্ট্যাটিস্টিক্সে খুব একটা বিশ্বাস করি না। তা-ও যদি বলতে হয় তবে ‘বাঞ্ছারামের বাগান’, ‘পাপী’, ‘রক্তে লেখা’… এগুলোর নামই নেব।

প্রশ্ন: দীপঙ্কর দে’র প্রিয় খলনায়িকা কে?

দীপঙ্কর: (ভেবে) খলনায়িকা… সেরকম দাগ কাটেনি বাংলা ছবিতে। ওই অনামিকা সাহা টুকটাক বাড়ির দজ্জাল বৌ করত-টরত। কিন্তু আপনি যে অর্থে খলনায়িকা বলছেন, তা বাংলা ছবিতে আমি অন্তত দেখিনি।

প্রশ্ন: হালফিলে সিনেমায় আইকনিক খলনায়কের এত আকাল কেন?

দীপঙ্কর: এর দু’টো কারণ হতে পারে। এক, সেরকম পরিচালক নেই, যাঁরা ভাল খলনায়ক বা ভাল অভিনেতাকে খুঁজে নিয়ে আসতে পারেন। আর দুই, খলনায়ক হওয়ার মতো মানসিকতা বোধহয় শিল্পীদের নেই। তাঁরা বোধহয় হিরোই হতে চান।

প্রশ্ন: কিন্তু হিরোর প্রতিষ্ঠা কি খলনায়ক ছাড়া হয়?

দীপঙ্কর: না, খলনায়ক যতক্ষণ থাকবে, হিরোও ধীরে-ধীরে তত বেশি প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ খলনায়ক মূলত একজন সাপোর্টিভ চরিত্র। খলনায়ককে মারবে, পিটবে, ঝামেলা হবে, আর হিরোও তত বেশি ফোকাসে আসবে।

প্রশ্ন: ভবিষ্যতে যদি সাংঘাতিক খলনায়ক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়, আপনি করবেন?

দীপঙ্কর: একদম নয়।

প্রশ্ন: সে কী! কেন?

দীপঙ্কর: আমার শরীর দেবে না। ওটার জন্য আলাদা শারীরিক ফিটনেসের দরকার। মারধর খেয়ে দৌড়তে হবে। তরোয়ালের কোপ খেতে হবে, গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়তে হবে। শরীর ফিট না থাকলে তা কী করে হবে?

প্রশ্ন: মাথা খাটানো কুচক্রী খলনায়কও তো হতে পারে?

দীপঙ্কর: স্রেফ মাথা খাটিয়ে খলনায়ক হওয়া যায় না বলেই আমার বিশ্বাস। অ্যাকশন ছাড়া খলনায়ক কখনওই খলনায়ক নয় বলে আমি মনে করি।