Durga Puja 2021: বাড়ির সবাই এক জায়গায় হলেই হইহই করে পুজো কেটে যায়: পূজারিনি ঘোষ
Durga Puja 2021: আমার দিদি আসছে ১০ তারিখ। হইহই হবে। পুজোর পরেই লুক সেট করে একটা ছবির শুটিং শুরু হবে। সেটার ওয়ার্কশপ চলছে। নভেম্বরের ৫ তারিখ হয়তো বেরিয়ে যাব। সে দিন আবার মায়ের জন্মদিন। ফলে ব্যস্ততায় কাটবে পুজো।
পুজো মানে আমার কাছে পরিবার। আমাদের পরিবার অনেক বড়। অনেক আত্মীয়, ভাই-বোন। তাই কখনও বাইরের কারও সঙ্গে পুজো কাটাতে হয়নি। বাড়ির সবাই এক জায়গায় হলেই হইহই করে পুজো কেটে যায় আমার। বন্ধুদের সঙ্গেও পুজোতে ঘুরেছি। তবে বাড়ির সদস্যরা ফার্স্ট প্রায়োরিটি।
এ বছর কিছু পুজো পরিক্রমা থাকবে। আমার দিদি আসছে ১০ তারিখ। হইহই হবে। পুজোর পরেই লুক সেট করে একটা ছবির শুটিং শুরু হবে। সেটার ওয়ার্কশপ চলছে। নভেম্বরের ৫ তারিখ হয়তো বেরিয়ে যাব। সে দিন আবার মায়ের জন্মদিন। ফলে ব্যস্ততায় কাটবে পুজো।
ছোটবেলায় থেকেই পাড়ায় নাটক করতাম। হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা থাকত সাউথ পয়েন্টে। চতুর্থী বা পঞ্চমীতে পরীক্ষা শেষ হত। সকালে রিবার্সাল থাকত, বিকেলে স্টেজ শো থাকত। পরীক্ষা সবে শেষ হত। বাঁধা গরু ছাড়া পেলে যা হয়, তাই হত আমার অবস্থা। তারপর আচার খাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরা ছিল আমার পুজোর রুটিন।
আমরা যে বাড়িতে থাকি, সেখানে সবাই আসে। এটা ঠাম্মার বাড়ি। পুজোর সময়ে বাড়ি ভর্তি লোকজন। রাতে সব খাট ব্লকড। শোওয়ার জায়গা নেই। যে যেখানে পারছে ঘুমোচ্ছে। সারা রাত ঠাকুর দেখা। আর দুপুর পর্যন্ত ঘুম। ফলে পুজো আমার পরিবারের সঙ্গেই কেটে যায়। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া শুরু হয়েছে অনেক পরে, অনেক বড় বয়সে। আমি আসলে রেস্ট্রিকটেড লাইফস্টাইলে বড় হয়েছি। বাড়িতে অনেক ভাই-বোন। আমার ছোটবেলায় বাড়িতে একটা অ্যাম্বাসেডার ছিল। বাড়িতে এত লোক, সকলে ওই গাড়িতে ধরত না। বাড়ির সকলে মিলে বেরলে লোকে ভাবত আমরা পিকনিকে যাচ্ছি। হা হা হা…।
পুজো মানেই অনেকে এথনিক ফ্যাশন ভাবেন। কিন্তু সকালের দিক গুলো ইন্দো ওয়েস্টার্ন পরতে ভাল লাগে আমার। এত গরম তো, সেটাতে কমফর্টেবল লাগে। আমার মনে হয় বেস্ট ফ্যাশন কমফর্টেবল থাকলে তবেই করা যায়। হালকা কটন, হালকা রং পুজোর দিনে ভাল লাগে আমার। এ বছর একটা কান্ড ঘটিয়েছি। অনেক বছর বাদে ছোটবেলার মতো পুজোর শপিং করেছি। প্যানডেমিকে গত দু বছর যা গিয়েছে…, কোনও শপিং হয়নি। আমার মায়ের প্রচুর শাড়ি। মাযের শাড়ি পরেই ঘুরতাম এত বছর। এখন নিজেরও কিনছি। পঞ্চমী পর্যন্ত শপিং করব ভেবেছি।
খেতে আমি ভালবাসি। আসলে খাবার ব্যাপারটায় আমি ব্যালেন্স করে চলি সারা বছর। বাড়িতে থাকলে ডায়েট করা যায় না। মা বলবে, ‘এটা রান্না করেছি খাবি না মানে!’ ফলে না চাইতেও খেতে হয়। পুজোর সময় তো ডায়েটের প্রশ্নই ওঠে না। বাড়িতে পুজোর সময় প্রচুর রান্না হয় আমাদের বাড়িতে… আগে তো ঠাকুর দিয়ে রান্না হত পুজোর সময়। দুর্গাপুজো আর শিবরাত্রি আমাদের বাড়িতে বিরাট ব্যাপার। বাড়িতে মন্দির আছে। প্রথমা থেকে টানা দশমী পর্যন্ত পুজো হবে। মূর্তি এনে হয় না। শ্রীমাতাজির ছবি আছে। সেখানেই পুজো হয়। এ সব মিলিয়েই দারুণ কাটে আমার পুজো।