Anik Dutta: ‘আমি ভাল আছি’, হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে TV9 বাংলাকে জানালেন পরিচালক অনীক দত্ত
Anik Dutta Hospitalised: দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অনীককে। ১০ জানুয়ারি সকালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। আইসিইউতে রাখা হয়েছিল পরিচালককে।
দিন কয়েক আগের কথা। হঠাৎই খবর আসে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বাঙালি পরিচালক অনীক দত্তকে। শ্বাসকষ্টের গুরুতর সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন সিওপিডির সমস্যায় ভুগছেন। বাড়ি ফিরে এসেছেন আজই, অর্থাৎ সোমবার (১৬.০১.২০২৩)। TV9 বাংলার তরফ থেকে ফোন করা হলে নিজেই জানান অনীক যে, তিনি বাড়ি ফিরেছেন এবং সুস্থ আছেন।
দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অনীককে। ১০ জানুয়ারি সকালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। আইসিইউতে রাখা হয়েছিল পরিচালককে। সিওপিডি (ফুসফুসের গুরুতর সমস্যা) সমস্যায় ভুগছেন দীর্ঘ কয়েক বছর। ফলে হাসপাতালে অক্সিজেন সাপোর্টেই রাখা হয় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছিল, খুব অল্প পরিমাণই অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল তাঁর। হয়েছিল অ্যাঞ্জিওগ্রামও। অল্পদিনের মধ্যে অনীকের শ্বাসকষ্টের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। শীতকাল এলে এমনিতেই নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয় সিওপিডি রোগীদের। তেমনটাই বলা আছে চিকিৎসা বিজ্ঞানে। তবে চিন্তার কিছু নেই। অনীক এখন সুস্থ। TV9 বাংলাকে বলেছেন, “আমি সুস্থ বলেই তো আমাকে বাড়িতে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল থেকে।”
অনীক দত্ত হাসপাতালে। টলিউডের অনেকেই তাঁর আরোগ্য কামনা করেছিলেন। অনেকে তাঁকে দেখতেও গিয়েছেন হাসপাতালে। অনীক দত্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দেখে তাঁরা নিশ্চিন্ত হয়েছেন সকলে।
২০১২ সালে দুর্দান্ত একটি বাংলা ছবি তৈরি করে লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন অনীক দত্ত। সেই ছবির নাম ‘ভূতের ভবিষ্য়ৎ’। ছবিটি ছিল একটি ‘পলিটিক্যাল স্যাটায়ার’। গত ২০ বছরে অন্যতম সেরা তিনটে বাংলা ছবির মধ্যে পড়বে সেই ছবি। তারপর তিনি তৈরি করেন ‘আশ্চর্য প্রদীপ’, ‘ভবিষ্যতের ভূত’ (যে ছবি বাংলার সিনেমা হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল), ‘বরুণবাবুর বন্ধু’, ‘অপরাজিত’র মতো একাধিক ছবি। চিরকালই স্পষ্টবক্তা অনীক সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না। ‘ভবিষ্যতের ভূত’-এর মতো তাঁর সাম্প্রতিক ছবি ‘অপরাজিত’ নিয়েও জলঘোলা হয়েছে। সত্য়জিৎ রায়ের প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির গল্প বলেছিল সেই ছবি। কিন্তু তা মুক্তি পায়নি সরকারী হল নন্দনে। যে নন্দনের লোগো তৈরি সত্যজিতের। এমনকী, নির্মাণের সময়ও যে সত্যজিৎ জড়িয়ে ছিলেন নন্দনের সঙ্গে।