Tollywood: টলি তারকাদের বিলাসবহুল আবাসনেও বাড়ছে করোনা, চিন্তায় আবাসিকরা
ওই বিলাসবহুল আবাসনে বাস কলকাতার রুপোলী জগতের একটা বড় অংশের। রাজ চক্রবর্তী থেকে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, পায়েল সরকার থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়... থাকেন সেখানেই।
একদিকে যখন বাংলার চিকিৎসকেরা তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন, তখন বাংলায় বড়সড় লাফ দিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ একধাক্কায় বেড়ে ৯ হাজার পেরিয়ে গেল মঙ্গলবার। শুধুমাত্র কলকাতাতেই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ছুঁইছুঁই। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। কলকাতাতেই মৃতের সংখ্যা ৫। এমতাবস্থায় স্বস্তিতে নেই কলকাতার অন্যতম অভিজাত আবাসনের বাসিন্দারাও। বাইপাসের ধারের ওই আবাসনে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ ছুঁইছুঁই। ইতিমধ্যেই তা ঘোষিত ঘয়েছে মিনি কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবেও।
ওই বিলাসবহুল আবাসনে বাস কলকাতার রুপোলী জগতের একটা বড় অংশের। রাজ চক্রবর্তী থেকে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, পায়েল সরকার থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়… থাকেন সেখানেই। ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ওই কমপ্লেক্সে এ দিন কাউন্সিলর তথা ১২ নম্বর বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের উদ্যোগে স্যানিটাইজেশনও করা হয়েছে। কিন্তু আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না আবাসিকদের।
প্রসঙ্গত, সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের যে বুলেটিন প্রকাশ হয়, তাতে দেখা গিয়েছিল দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৬ হাজারের কিছু বেশি। সাধারণত রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় টেস্ট তুলনামূলকভাবে কম হয়। সম্ভবত সেই কারণেই শনিবার ও রবিবার আক্রান্তের সংখ্যায় খুব বেশি হেরফের হয়নি বলেই অনুমান করা হয়। আর মঙ্গলবার একলাফে সেই সংক্রমণ বাড়ল অনেকটাই। এ দিন রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৯০৭৩ জন ও কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৭৫৯ জন। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, সাধারণ মানুষের সতর্কতার অভাবেই এই পরিস্থিতি। তারপরও অসতর্কতার ছবি দেখা যাচ্ছে বাসে-ট্রেনে সর্বত্র। তবে মঙ্গলবারের করোনার গ্রাফ বুঝিয়ে দিচ্ছে, এবার সত্যিই আরও বেশি সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।