Recruitment Scam: ‘তোমায় প্রমাণ দিতেই হবে বিক্রি তুমি হওনি’, কবিতার মাধ্যমে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একহাত নিলেন রুদ্রনীল ঘোষ

Rudranil Ghosh: যে বুদ্ধিজীবী সমাজ ২০১১ সালে রাস্তায় নেমেছিলেন, সরব হয়েছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে, তাঁদের নীরবতাকে কবিতার মাধ্যমে একহাত নিয়েছেন অভিনেতা ও বিজেপি রাজনৈতিক দলের সদস্য রুদ্রনীল ঘোষ।

Recruitment Scam: 'তোমায় প্রমাণ দিতেই হবে বিক্রি তুমি হওনি', কবিতার মাধ্যমে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একহাত নিলেন রুদ্রনীল ঘোষ
রুদ্রনীল ঘোষ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2022 | 4:08 PM

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের একদা মন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। উঠে এসেছে তাঁর ঘনিষ্ঠা মডেল-অভিনেত্রীর নামও। প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে সেই একদা মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠার একাধিক ফ্ল্যাট থেকে। একদিকে কোটি-কোটি টাকার পাহাড়ের ছবি, অন্যদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগ্য আন্দোলনকারীদের লড়াই ৫০০দিন অতিক্রান্ত। গত একসপ্তাহ ধরে যে সার্কাস চলছে রাজ্য রাজনীতিতে, তার সামনে টানটান থ্রিলার ওয়েব সিরিজ়ের চিত্রনাট্যও হার মানবে। এমন অবস্থায় একপ্রকার মুখে কুলুপ এঁটেছেন রাজ্যের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সমাজ। যে বুদ্ধিজীবী সমাজ ২০১১ সালে রাস্তায় নেমেছিলেন… সরব হয়েছিলেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এবার তাঁদের নীরবতাকে কবিতার মাধ্যমে একহাত নিয়েছেন অভিনেতা ও বিজেপি রাজনৈতিক দলের সদস্য রুদ্রনীল ঘোষ। বুদ্ধিজীবীদের চুপ থাকাকে কড়াভাবে কটাক্ষ করেছেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন ২০১১ সালের মতো কবে বাংলার মেঘ কাটবে?

খুব চেনা কায়দায় (যেভাবে সাদা-কালো ভিডিয়োর মাধ্যমে নিজের বক্তব্য রাখেন রুদ্রনীল) ফের ফেসবুকে ফুটে ওঠে রুদ্রনীলের এই ভিডিয়ো। স্বরোচিত কবিতা পাঠ করেছেন রুদ্রনীল। রাজ্য শাসকদলের কাছে বুদ্ধিজীবীদের বিকিয়ে গিয়েছেন, সরাসরি বলেছে সে কথাও। দেখুন কী বলেছেন তিনি?

রুদ্রনীল বলেছেন, “ও বুদ্ধিজীবী, লেখক, কবি, ঘুমিয়ে গেলেন নাকি… ভাতা পেয়ে দাতার ভয়ে লজ্জা পাওয়া বাকি। দিচ্ছ কাকে ফাঁকি। বুদ্ধিজীবী, আপনারা নাকি বাংলার মুখ, আপনারা সব বিবেক… মানুষ নিয়ে ভাবেন নাকি… তা হোক এগারোর রিমেক। পড়ছে মনে? এগারোতে… এখন মুখ কুলুপ এঁটে ওড়ান কিসের ফানুস। বাংলার মা বিস্মিত আজ মাটি জুড়ে লজ্জা… মানুষ চিনছে লুটেরাদের… বাংলার শরশয্যা… ও বুদ্ধিজীবী… ও বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, কবি ওহে বঙ্গভূষণ… ডাকছে মানুষ, মানুন পথে সারান বঙ্গদূষণ… কয়লা বালি ত্রাণ চুরিতে আপনি ছিলেন চুপ… ভোটের পরে মরল মানুষ… কই জ্বালেননি তো ধূপ… আপনারা চুপ বলেই এরা মারল আনিস খান, বুক ফুলিয়ে বগটুই হয়… বাংলার মুখ ম্লান… আপনারা মুখ খুললে পরে হত না হাঁসখালি… প্রতিবাদে ভয় পেত চোর… বাঁচত গেরস্থালী। চোরের মায়ের বড় গলা… রোজ মঞ্চে… চোরের মায়ের বড় গলা রোজ বলে যায় মিথ্যে… চোর জেলে যায়, মা তবু চুপ… মা শুধু চায় জিততে। বুদ্ধিজীবী বলছে মানুষ আপনারা সব বিক্রি হয়ে গেছেন… ভাতা, চেয়ার, খয়েরি খামে মত্ত হয়ে আছেন…ও বুদ্ধিজীবী আর কত লুট হলে পড়ে খুলবে তুমি মুখ… তাবেদারি ছাড়বে তুমি মানুষ তো উন্মুখ… টিভি দেখছেন না… খবর দেখছেন না… জানেন না বাংলায় কী হচ্ছে… লুটের টাকার পাহাড় দেখেও পাচ্ছে নাকি লজ্জা… কাদের কাঁধে হাত রেখেছেন… ঘুণ ধরা কি মজ্জা… কিন্তু এই আপনারা অন্য রাজ্যে সামান্য কিছু হলে ইউপি-বিহার-দিল্লি নিয়ে মোমবাতি নেন হাতে… আর বাংলা লুঠে খোলেন না মুখ নামেন না রাস্তাতে… ও বুদ্ধিজীবী… হে বাঙালি আর কাঙালি হবেন কত আর… গ্রাম শহরে দিন দুপুরে দুর্নীতি কারবার… ও বুদ্ধিজীবী… তোমায় প্রমাণ দিতেই হবে বিক্রি তুমি হওনি… মিছিল চেয়ে তোমার দিকে সামনে তুমি হাঁটবে… ঠিক এগারোর মতো আবার বাংলার মেঘ কাটবে… তোমার হাত ধরে…”