অঙ্কে ফেল করেন, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূর-দূর করে তাড়ানো হয় দীপঙ্করকে
Dipankar Dey: তা হলে কি মাঝপথে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দীপঙ্কর দের? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়তেই টানা পাঁচ বছর পড়াশোনা করেছিলেন দীপঙ্কর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যদি দীপঙ্করকে তাঁর কলেজ জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন প্রেসিডেন্সি কলেজকে ঘিরে। এখনও তাঁর মনে বাসা বেঁধে রয়েছে প্রেসিডেন্সির দিনগুলোই।
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা দীপঙ্কর দে। এখন তাঁর বয়স ৭৮। তবে গোটা জীবনটাই তাঁর কেটেছে বেশ বর্ণময় ভাবে। পর্দায় দারুণ দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন কখনও রবীন্দ্র গবেষক, কখনও দুঁদে ভিলেন কখনও বা অভিমানী অভিভাবকের চরিত্রে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের অনেক বছর পর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা-অভিনেত্রী দোলন রায়কে বিয়ে করেন ৭৬ বছর বয়সে। ২৬ বছরের ছোট প্রেমিকাকে বিয়ে করেছিলেন বলে কম চর্চিত হননি দীপঙ্কর। কিন্তু জানেন কি, দীপঙ্করকে একবার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাতে।
দীপঙ্কর ছিলেন খুবই মেধাবী ছাত্র। দ্বাদশ শ্রেণীর পড়াশোনা শেষ করে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রথম এক বছর কলেজ জীবনের হাওয়া গায়ে লেগেছিল তাঁর। প্রেসিডেন্সি সংলগ্ন কলেজ স্ট্রিট চত্বরে ঘুরে বেড়াতেন খুব। দীপঙ্করের চার্মিং স্বভাবের জন্য জুটে গিয়েছিল বহু বান্ধবী। তাঁদের সঙ্গে কফি হাউসে গিয়ে দেদার আড্ডা দিতেন দীপঙ্কর। লেখাপড়া থেকে মন একেবারেই উঠে গিয়েছিল সেই অল্প বয়সে। এবং তার ফল পাওয়া যায় রেজ়াল্টে। এক বছর পড়াশোনা না করার ফলে অঙ্কে ডাহা ফেল করেছিলেন দীপঙ্কর। উত্তীর্ণ হতে পারেননি ইন্ডিয়ান ইকোনমিক্সের মতো বিষয়ে। তাঁকে কলেজ থেকে টিসি দেওয়া হয়। তারপর দীপঙ্কর ভর্তি হয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়তেই টানা পাঁচ বছর পড়াশোনা করেছিলেন দীপঙ্কর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যদি দীপঙ্করকে তাঁর কলেজ জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েন প্রেসিডেন্সি কলেজকে ঘিরে। এখনও তাঁর মনে বাসা বেঁধে রয়েছে প্রেসিডেন্সির দিনগুলোই।