পরিচালকের হাতে নেই বাজেট, সকলে বেঁকে বসেন বউভাত খেয়েই যাব, ফোন পান সঞ্জয় দত্ত, তারপর…
Untold Story: প্রতিটা ছবির ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু গল্প তৈরি হয়, যা সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নেয়। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হওয়া সেই সকল খবরই বারে বারে ফিরে আসে নানা কাহিনির হাত ধরে।
অধিকাংশ ছবির ক্ষেত্রেই সমস্তটা পরিকল্পনা মাফিক করার চেষ্টা করে থাকেন পরিচালক থেকে শুরু করে প্রযোজক। কখনও সামনে উঠে আসে ছবির শিডিউল ঘিরে নানা কাহিনি, কখনও আবার অন্দরমহলের না দেখা ভিডিয়ো বা খবর। প্রতিটা ছবির ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু গল্প তৈরি হয়, যা সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নেয়। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হওয়া সেই সকল খবরই বারে বারে ফিরে আসে নানা কাহিনির হাত ধরে। এবার বিধু বিনোদ চোপড়ার ছবি মুন্নাভাই এমবিবিএস-এর কাহিনি সকলের নজরকাড়ে। এই ছবিতে বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালক হিসেবেছিলেন না। সেই জায়গায় প্রথম কাজ করা শুরু করেছিলেন রাজকুমার হিরানি।
ছবির বাজেটে ছিল টান, তাই শেষ দৃশ্যে সঞ্জয় দত্ত আর গ্রেসি সিং-এর বিয়েটা না দেখানোরই কথা ছিল। স্থির করেছিলেন বিয়ের কোনও সেট তৈরি হবে না। তার বদলে বেশকিছু ফোটোগ্রাফ ব্যবহার করা হবে। সবটা শুনে প্রথমটায় কেউ রাজি ছিল না। যথারীতি বিয়ের লুকে ফ্রেমবন্দি হন ছবির এই জুটি। সকলেই স্টেজে উঠে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। ফোটোগ্রাফার ছবিও তুলে নিয়েছিলেন। এরপর সেটে সকলেই বসে পড়েন তাঁরা বউভাত না খেয়ে যাবে না। এখানেই শেষ নয় কস্টিউম নিয়েও ঘটে মজার এক ঘটনা। সেখানে স্থির করা হয়েছিল ভাড়া করা পোশাকই পড়তে হবে জুটিকে।
তবে এই বিষয় সহমত ছিলেন না গ্রেসি। সে ভাড়া করা পোশাক পড়তে রাজি নয়, ফলে তড়িঘড়ি ফোন যায় সঞ্জয় দত্তের কাছে। তিনিও বিষয়টাতে রাজি থাকায় স্থির করেন যে কিনে ফেলা হবে বিয়ের পোশাক। ফলে প্রযোজক সংস্থার তরফ থেকে এই দৃশ্যের জন্য কোনও খরচই হয়নি। এভাবেই হইহই করে শেষ দৃশ্যের শুটিং হয় মুন্নাভাই এমবিবি-এস ছবির। কোথায় কথা ছিল ব্যবহার করা হবে ছবি, ভয়েজওভারে বাকি সবটা ন্যারেট করা হবে, তবে তেমন কিছু আর শেষ পর্যন্ত ঘটে না। উল্টে সমস্তটাই চাহিদা মতই সম্পন্ন হয় সেটের সকলে, অভিনেতাদের ইচ্ছায়।