ক্যালসিয়াম স্কোর টেস্ট: ভবিষ্যতে আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কতটা? বলে দেবে এই পরীক্ষা
এই পুরো ক্যালসিয়াম স্কোর টেস্ট হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট।
আপনার হৃদয়ে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে বা বাধাপ্রাপ্ত হলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। মূলত ফ্যাট, কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য আরও অনেক কারণে হার্টে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।
চিকিৎসকরা বলেন, হার্ট অ্যাটাক আক্ষরিক অর্থেই ‘ওয়েক আপ কল’। বিভিন্ন সমীক্ষাতেও দেখা গিয়েছে যে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে হার্টের রোগ এবং হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ছে। এই প্রসঙ্গেই একটি নতুন বিষয় সামনে এসেছে। ‘ক্যালসিয়াম স্কোরিং’- এর সাহায্যে ভবিষ্যতে ‘হার্ট অ্যাটাক’- এর কতটা রিস্ক রয়েছে সেটা আগাম জানা যাবে। এর পাশাপাশি এই টেস্টের সাহায্যে বোঝা যাবে যে ধমনীতে কতটা ক্যালসিয়াম রয়েছে এবং হার্ট অ্যাটাক রুখতে আপনার দৈনন্দিন জীবনে কী কী পরিবর্তন প্রয়োজন সেটাও বোঝা যাবে।
ক্যালসিয়াম স্কোরিং টেস্ট-
এই টেস্টের মাধ্যমে করোনারি ধমনীতে কতটা ক্যালসিয়াম রয়েছে তা জানা যাবে। স্পেশ্যাল সিটি ইম্যাজিং- এর সাহায্যে পুরো এলাকা জুড়ে ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব কতটা এবং কী পরিমাণে রয়েছে ক্যালসিয়াম, তা জানা যাবে।
মূলত আমাদের হাড়ের সুদৃঢ় গঠনের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিমাণ ক্যালসিয়াম। কিন্তু করোনারি আর্টারিতে ক্যালসিয়াম থাকা মানেই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়াও বড় কোনও সমস্যা হতে পারে। ফ্যাটি উপদান, এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ফাইব্রিনের ফলে করোনারি আর্টারিতে ক্যালসিয়াম জমা হয়। এর প্রভাবে ব্লক হয়ে যায় আর্টারি। যার ফলে সঠিক ভাবে রক্ত সঞ্চালন হয় না। হার্টে রক্ত জমাট বাঁধে। ব্লাড ক্লটের ফলে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ে।
কেন প্রয়োজন-
হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা বোঝার জন্যই মূলত এই ক্যালসিয়াম স্কোরিং টেস্ট প্রয়োজন। এই টেস্টের ফলে প্রথম দেখাতেই করোনারি আর্টারিতে জমে থাকা ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বোঝা যায়। জিরো স্কোর হলে বোঝা যায় যে করোনারি ধমনীতে ক্যালসিয়াম নেই। ক্যালসিয়াম স্কোর ১০০ থেকে ৩০০ থাকার মানে হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে মডারেট রিস্ক রয়েছে। স্কোর ৪০০- র বেশি হলে বুঝতে হবে ভালমতো ব্লক রয়েছে করোনারি আর্টারিতে।
এই পুরো ক্যালসিয়াম স্কোর টেস্ট হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট।