Covid-19 vaccine and miscarriage: কোভিড ভ্যাকসিন কি গর্ভপাতের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলছে? কী বলছেন চিকিত্সকরা?
Pregnancy: প্রেগন্যান্সিতে করোনা ছাড়াও অন্যান্য বহু বিষয় আছে যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মশাবাহিত রোগ, জন্ডিস, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুসারে, মিসক্যারেজ (miscarriage) হওয়ার আশঙ্কার কথা বলতে হলে, কোভিড ভ্যাকসিন (COVID 19 Vaccine) নেওয়া সন্তানসম্ভবা মহিলারা (Pregnancy) মোটেই ভ্যাকসিন না নেওয়া গর্ভবতী মহিলার তুলনায় বেশি ঝুঁকিতে নেই।
উক্ত সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১ লক্ষ ৫ হাজার ৪৪৬ জন। প্রত্যেক মহিলাই ছিলেন ৬ থেকে ১৯ সপ্তাহের গর্ভবতী। ওই সন্তানসম্ভবা মহিলাদের ৭.৮ শতাংশ অন্ততপক্ষে ফাইজার-বায়োএনটেকের একটি ডোজ এবং ৬ শতাংশ মহিলা পেয়েছিলেন মডার্নার অন্তত একটি করে ডোজ। সমীক্ষায় বেরিয়ে আসে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ১৩১৬০ জনের মিসক্যারেজ হয়। গবেষকরা দেখেন, ভ্যাকসিন নেওয়া এবং ভ্যাকসিন না নেওয়া মহিলাদের মধ্যে মিসক্যারেজ হওয়ার আশঙ্কা ছিল সমান সমান।
সুতরাং চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সন্তানসম্ভবা মহিলার অতিঅবশ্যই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া উচিত। এমনকী সন্তানকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন এমন মহিলারও ভ্যাকসিন নেওয়া দরকার। চিকিৎসকরা বলছেন, অনেকেই ভাবছেন, ভ্যাকসিন হয়তো সন্তান জন্মানোর সময়ে সমস্যা তৈরি করবে। তবে এই ধরনের সন্দেহ অমূলক। ভ্যাকসিনে এমন কোনও ক্ষতিকারক উপাদান নেই যা প্রেগন্যান্ট মহিলার পক্ষে মারাত্মক হতে পারে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভ্যাকসিনেশনের ফলে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি প্ল্যাসেন্টা অতিক্রম করছে ঠিকই, তবে তা গর্ভস্থ শিশুর দেহেও কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তুলছে। চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভাবস্থায় কোভিড ১৯ হলে তা অতিরিক্ত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা মহিলার ক্ষেত্রে একটু বেশিই সতর্ক থাকতে হয়। এই কারণেই আগে থেকে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে কোভিডজনিত জটিলতা থেকে মুক্তি পান সন্তানসম্ভবা মহিলা। চিকিৎসকরা আরও বলছেন, গর্ভাবস্থায় করোনা ভ্যাকসিন নিলে তা ক্ষতির চাইতে উপকারই বেশি করে।
চিকিৎসকরা এও জানাচ্ছেন, প্রেগন্যান্সিতে করোনা ছাড়াও অন্যান্য বহু বিষয় আছে যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মশাবাহিত রোগ, জন্ডিস, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই সেগুলি নিয়েও চিন্তা করা দরকার। এছাড়া অপুষ্টিজনিত সমস্যা এবং রক্তাল্পতার সমস্যাও প্রেগন্যান্সিতে মিসক্যারেজের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রতিদিন খাদ্যের মাধ্যমে পর্যাপ্ত মাত্রায় পুষ্টির জোগান দিয়ে যেতে হবে। খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ফল, রঙিন শাকসব্জি এবং প্রোটিনের জন্য দুধ, মাছ, মাংস, ডিম, সয়াবিন, ডাল। এছাড়া প্রেগন্যান্সির সময়ে যতখানি সম্ভব মানসিক চাপ এড়িয়ে চলা দরকার।
আরও পড়ুন : Corona Fourth Wave in India: ভারতে কবে করোনার চতুর্থ ঢেউ আসবে? জানালেন আইআইটি কানপুরের গবেষকরা…