বাঙালি খাবারের যে স্বাদ তা ভূ-ভারতের আর কোথাও পাওয়া যায় না। বাঙালি যে খাজ্যরসিক তা সকলেই জানেন। সিনেমা, গল্প, উপন্যাসে তার অসংখ্য নজির ছড়িয়ে রয়েছে। এছাড়াও খেতে আর খাওয়াতে খুবই ভালবাসে বাঙালি। পাঁঠার মাংস, চিংড়ির মালাইকারি, পোলাও, পাতুরি, রেজালা এসব একমাত্র বাঙালির রান্নাঘরেই সম্ভব।
খাবারের প্রতি বাঙালি চিরকালই দুর্বল। যতই ঘরে ঘরে সুগার, প্রেশার, কিডনির রোগী থাকুক না কেন পাঁঠার মাংস, রসগোল্লা, চাটনির লোভ কেউই ছাড়তে পারেন না। রবিবার মানেই বাড়িতে বাড়িতে মাংস, আলুভাজা, গরম ধোঁওয়া ওঠা ভাত, চাটনি হবেই। ব্রেকফাস্টেও থাকে এলাহি আয়োজন।
রোজ কচুরি, লুচি, আলুর তরকারি, চিংড়ি, পাঁঠার মাংস, ভাত, মিষ্টি এসব খেতে থাকলে সুগার বাড়বেই। কারণ এই সব খাবারের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। চাল, আলু, মিষ্টি এসব রোজদিন খেতে থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বেই।
প্রথম পাতে তেতো খাওয়া আর শাক খাওয়া বাঙালির বরাবরের অভ্যাস। শুরুতেই যদি নিমপাতা বা উচ্ছেসেদ্ধ খাওয়া যায় তাহলে খুব ভাল। নিয়মিত তেতো খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে। নিমপাতা যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। সিজন চেঞ্জের সময় সর্দি, কাশি লেগেই থাকে। এই সব সমস্যার সমাধানে ভাল কাজ করে করলা। এছাড়াও রক্ত পরিষ্কার থাকে।
সবজির তরকারি, শাক এসব নিয়মিত খান। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ খনিজ, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রন। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। পালং পনির হোক বা লাল শাক খুবই ভাল যদি রোজ খাওয়া যায়। এছাড়াও নবরত্নকারি যেমন খেতে ভাল তেমনই শরীরের জন্য উপকারী।
ডাল একবাটি করে রোজ খাবেন। সবচাইতে ভাল যদি মুসুরের ডাল খেতে পারেন।ডালের মধ্যে থাকে ফোলিক অ্যাসিড। যা শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটায়। এছাড়াও রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডালের মধ্যে থাকে ফাইবার, যা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। তাই ডাল খেলে ওজনও কমে তাড়াতাড়ি।
দামে প্রায় সোনার কাছাকাছি হলেও কাজও সেই রকম। রোজ পোস্ত খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। এছাড়াও যে কোনও খাবারে পোস্ত মিশলে সেই খাবারের স্বাদই আলাদা হয়ে যায়। পোস্তর মধ্যে থাকে প্রাকৃতিক কুলেন্ট। যা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।