Coronavirus: করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বেশি কাড়া পান করছেন? সাবধান হোন
আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়ার সবচেয়ে সাধারণ উপায় হল কাড়া। কড়ার জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ উপাদান হল তুলসী, গিলো, হালদি, কালো মরিচ, আদা, লবঙ্গ, লেবু, অশ্বগন্ধা, এলাচ এবং দারুচিনি।
গত ২ বছর ধরে করোনা (Coronavirus) থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে অনেকেই আয়ুর্বেদের (Ayurvedic medicine) উপর ভরসা রেখেছেন। ওমিক্রনের তৃতীয় তরঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) কতটা হ্রাস হতে পারে, তার কোনও তথ্য নেই। কোভিড ভ্যাকসিন (COVID Vaccine) নেওয়া সত্ত্বেও ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। তাই এই পরিস্থিতিতে ইমিউনিটি বাড়াতে বারবার বিশেষজ্ঞরা কাড়ার কথা জানিয়েছেন। ইমিউনিটি বাড়ানোর বড় হাতিয়ার এই কাড়া (Kadha)।
বাড়িতে তৈরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী এই কাড়া এখন সকলের কাছে পরিচিত। ভারতে করোনাভাইরাস প্রবেশ করার পর থেকেই বাড়ির মা-ঠাকুমারা কফির রঙের কাথ খাওয়ানো শুরু করেছিলেন। ২০২০ সাল থেকে শুরু। কোভিড ১৯ ও সাধারণ ফ্লু, যাই হোক না কেন, এই উষ্ণ ঔষধি তরল পান করা থেকে বাদ দেননি অনেকেই। কোভিড ১৯ এর উপসর্গ দেখা যায় সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই। সেইসময় দারচিনি, তুলসি পাতা,আদা খাওয়ার প্রচলন আছে। তাই অতিমারির এই দুবর কাড়া থেকে সরে আসা হয়নি। কিন্তু জানেন কি যে অতিরিক্ত পরিমাণে কাড়া পান করলে কী ধরনের মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে?
কাড়ায় এত কিছু মেশাবেন না। জানাচ্ছে যোগাচার্য ড. নবদ্বীপ। পাবলিক ব্রডকাস্টার ডিডি নিউজের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে, তিনি বলেছিলেন যে অতিরিক্ত কাড়া গ্রহণ আপনার কিডনি এবং লিভারের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন এবং আপনার চিকিত্সার অবস্থার উপর ভিত্তি করে কড়ায় কী কী উপাদান এবং কী পরিমাণে গ্রহণ করা যেতে পারে সে সম্পর্কে পরামর্শ নিন। একটি ঔষধি পানীয় হিসাবে কাড়াকে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে গ্রহণ করা দরকার। আর সেখানেই এই ২ বছর ধরে উপেক্ষা করে আসা হয়েছে।
আয়ুর্বেদিক ঔষধির কদর ভারতে হাজার হাজার বছর ধরে। চরক সংহিতায় পঞ্চবিধ কাশ্যপম বলেছেন যে ঔষধি গাছ পাঁচটি ভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে: স্বরস (রস), কোয়াথ বা কড়া (ক্বাথ), কালকা (পেস্ট), হিমা (ভেষজ মিশ্রন) এবং ফান্ট (ভেষজ সংমিশ্রণ)। আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়ার সবচেয়ে সাধারণ উপায় হল কাড়া। কড়ার জন্য ব্যবহৃত কিছু সাধারণ উপাদান হল তুলসী, গিলো, হালদি, কালো মরিচ, আদা, লবঙ্গ, লেবু, অশ্বগন্ধা, এলাচ এবং দারুচিনি। এই উপাদানগুলিতে ওলিয়ানোলিক অ্যাসিড, উরসোলিক অ্যাসিড, রোসমারিনিক অ্যাসিড এবং ইউজেনলের মতো প্রয়োজনীয় ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে।
সারা দেশের বিশিষ্ট বৈদ্যদের সাথে পরামর্শ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত সরকারী নির্দেশিকা অনুসারে, তুলসী (তুলসী), ডালচিনি (দারুচিনি), কালিমরিচ (কালো মরিচ), শুঁথি (শুকনো আদা) এবং মুনাক্কা (কিশমিশ) থেকে কাড়া তৈরি করতে পারেন। দিনে একবার বা দুবার খাওয়া উচিত। এটি স্বাদের জন্য পরিশোধিত চিনির উপরে গুড় দিতে পারেন।
পাশাপাশি ১০গ্রাম চ্যবনপ্রাশ খাওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সকালে ১ টেবিল চামচ মত চ্যবনপ্রাস খেতে পারেন।