Medical Tests: HIV-থ্যালাসেমিয়া তো সকলেই করান, বিয়ের আগে এই পরীক্ষাগুলি না করালেই মহা বিপদ
Medical Tests Before Marriage: উন্নত যুগে কুণ্ঠিত না হয়েই পাত্র-পাত্রীরা এখন HIV-থ্যালাসেমিয়ার মতো রক্ত পরীক্ষা করিয়ে ফেলেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয় বিষয়টা। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন আরও কিছু রক্ত পরীক্ষার, যা না করালে ভীষণভাবেই বিপদে পড়তে পারেন দম্পতি। কী সেই পরীক্ষা? জানিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের প্রফেসর-চিকিত্সক তপন নস্কর।
যুগ অনেক পাল্টে গিয়েছে। সম্বন্ধ করে বিয়ে এখন অনেকটাই কমেছে। ছেলেমেয়েরা নিজেদের পছন্দতেই বিয়ে করছেন আজকাল। পাত্র-পাত্রী এখন কনে দেখা আলোয় কাকা-জেঠারা পাত্রী দেখতে আসেন না, বিয়ের আগে কুষ্ঠিও বিচার করা হয় না। এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বিয়ের আগে বরং কিছু মেডিক্যাল টেস্ট করা হয় ভাবী বর-বউয়ের। পাত্র-পাত্রীর শারীরিক অবস্থা ঠিক কেমন, যাচাই করা হয়। করা হয় কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা।
বিয়ের আগে এইচআইভি (HIV), থ্যালাসেমিয়া খুব সাধারণ টেস্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই ভাববেন না পাত্র-পাত্রী একে-অপরের সঙ্গে সারাজীবন কাটানোর জন্য প্রস্তুত। এর বাইরেও কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা আছে, যা না করালে আগামী জীবনে ভীষণই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন বর-কনে। কী সেই পরীক্ষা?
এই ডাক্তারি পরীক্ষাগুলি সম্পর্কে TV9 বাংলাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের প্রফেসর-চিকিত্সক তপন নস্কর। তিনি বলেছিলেন, “কিছু রুটিন ডাক্তারি পরীক্ষা রয়েছে যেমন– হিমোগ্লোবিন, টিসি, ডিসি। খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল বর কনের ব্লাড গ্রুপ মেলানো। এটাকে আমরা ডাক্তারি পরিভাষায় বলি এবিও এবং আরএএইচ। জানা যায়, ব্যক্তির শরীরে কোন গ্রুপের রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে–পজ়িটিভ না নেগেটিভ। নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত হল O-, A-, B-, AB- এবং পজ়িটিভ হল 0+, A+, B+, AB+। পজ়িটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষ কিংবা নারীর রক্তরে সঙ্গে নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষ কিংবা নারীর রক্ত মিশলে তাঁদের সন্তানের শরীরে রক্তজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। প্রাণের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। রক্তশূন্যতার মতো সমস্যা থাকতে পারে সেই সন্তানের শরীরে। ফলে পাত্র-পাত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানা অত্যন্ত জরুরি।
প্রফেসর-চিকিত্সক তপন নস্কর আরও জানিয়েছিলেন, হেপাটাইটিস বি ও সি পরীক্ষা করানোই বাঞ্ছনীয়। তিনি বলেছিলেন, “হেপাটাইটিস বি যৌনতার রুটে ট্রান্সমিট করে। শারীরিক মিলন মারফত ছড়ায়। যে কারণে পরবর্তীকালে বাচ্চার শরীরে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তার লিভারজনিত ব্যাধি তৈরি হতে পারে। লিভার অকেজোও হয়ে যেতে পারে।”
এ ছাড়াও আরও কিছু টেস্ট আছে মহিলা-পুরুষদের। প্রফেসর-চিকিত্সক তপন নস্কর জানিয়েছেন, মহিলাদের তলপেটের (লোয়ার অ্যাবডমেন) পরীক্ষা করানো দরকার বিয়ের আগে। আল্ট্রা সোনোগ্রাফি করালে জরায়ু কিংবা গর্ভস্থ কোনও ত্রুটি আছে কি না, তা সহজেই জানা যায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে স্পার্ম কাউন্ট, সিমেন অ্যানালিসিস কিংবা বীর্য পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।