করোনা আবহে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখবেন কীভাবে? জেনে নিন…

দেশে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে নভেল করোনাভাইরাস। সংক্রামকের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যাও।

করোনা আবহে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখবেন কীভাবে? জেনে নিন...
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Apr 28, 2021 | 8:04 PM

করোনা টিকাকরণ প্রক্রিয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের আকাল। যার জেরে শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবেই করোনা রোগীর অবস্থা আরও শোচনীয় হয়ে পড়ছে। অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে মৃতের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। করোনার জেরে অক্সিজেনের আকাল হওয়ায় দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছে হাহাকার। করোনাভাইরাসের থাবা পড়তেই এখন প্রায় অধিকাংশের বাড়িতেই রয়েছে অক্সিমিটার (Pulse Oximeter)। এই কঠিন পরিস্থিতিতে শরীরে অক্সিজেন লেভেল (Oxygen Levels) ও ইমিউনিটি (Immunity) বাড়াতে ঘরোয়া কিছু টোটকার হদিশ দেওয়া রইল আপনাদের জন্য।

রসুন– এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও খনিজের সম্পদ। রসুন শুধু রান্নাতেই নয়, চিকিত্‍সাক্ষেত্রেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে রসুনের গুণ অনেক। যে কোনও রোগ বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে রসুন অত্যন্ত উপকারী। রক্তের মধ্যে অক্সিজেনের লেভেল স্বাভাবিক রাখতেও নিয়মিত রসুনের কোয়া খেতে পারেন।

দই- এতে রয়েছে ভিটামিনস, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালের গুণ।শরীরে মধ্যে ভালো ব্যাকটেরিয়াকে রক্ষা করে, ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে নির্মূল করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দই খেলে শরীরে মধ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন টক দই।

এই সময় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যেস করলে রক্তের মধ্যে দূষিত পদার্থ দূর হয়। শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ উন্নত করতে ভিটামিন-সি-যুক্ত খাবার খাওয়া আবশ্যিক। এছাড়াও ঋতুকালীন সংক্রমণ, রক্তাল্পতা ও করোনার মতো মারণভাইরাস থেকে বাঁচতে লেুবর রস, মসুর ডাল, সবুজ শাক-সবজি, স্প্রাউট রাখুন প্রতিদিনের ডায়েটে।

বিশ্বে করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়িয়ে পড়ে ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে, তাতে সকলেই আতঙ্কিত। তবে এই মারণভাইরাসকে রোধ করতে আতঙ্কিত হবেন না, বরং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট মেনে চলুন। করোনা রোগীর অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।