এই ২টি জায়গায় তীব্র ব্যাথা হলে বুঝবেন শরীরে বাসা বেধেছে কর্কট রোগ!

নভেল করোনাভাইরাসের আগেই সারা বিশ্বে একটি রোগ অজান্তে, নিঃশব্দেই মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। কর্কট রোগে আক্রান্ত এখন ঘরে ঘরে। তাই এই ক্যানসার নিয়েও মানুষের মনে রয়েছে যথেষ্ট ভীতি।

এই ২টি জায়গায় তীব্র ব্যাথা হলে বুঝবেন শরীরে বাসা বেধেছে কর্কট রোগ!
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Apr 29, 2021 | 12:25 AM

কী করলে, কী লক্ষণ দেখা দিলে ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে হবে, তা নিয়ে মানুষের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। তবে কর্কট রোগ নিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে যথেষ্ট। অস্বাভাবিকরকমভাবে মাংসখণ্ডের পিণ্ড, নতুন তিল তৈরি হওয়া, অস্বাভাবিকভাবে ওজন হ্রাস পাওয়া- এগুলি এক ধরণের ক্যানসার রোগের আভাসমাত্র। তবে সবসময় শরীরের বাইরে ক্যান্সার প্রকাশ হয় না। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিশেষজ্ঞরা দেহে সূক্ষ্ম লক্ষণগুলি নিয়ে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি একটি পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শরীরের দুটি অংশে তীব্র ব্যাথা অনুভব হলে কর্কট রোগের একটি প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব। আপনার ত্বকের বিভিন্ন লক্ষণ দেখে মোট ১৩টি ক্যান্সারের ঝুঁকির আভাস দিতে পারেন চিকিত্‍সকরা।

আপনার যদি ক্রমাগত গলা ও কানের ব্যাথা অনুভব হয় তাহলে প্রাথমিকভাবে ল্যারেনজিয়াল ক্যানসার হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটারের গবেষকরা একটি সমীক্ষা করে জানিয়েছেন, ২০১২ সালে ল্যারেনজিয়াল ক্যানসারের লক্ষণগুলি সম্পর্কে আরও বেশি অনুসন্ধানের প্রয়োজন। ২০০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮০০জনের বেশি ক্যান্সার রোগীর মধ্যে গবেষণা চালান। ঘাড়ের সামনের দিকে ভয়েস বক্স নামে একটি জায়গায় ক্রমাগত ব্যাথা অনুভব করছেন তাঁরা। গলায় ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে চিহ্নিত করেন বিজ্ঞানীরা। অন্যদিকে গলা ব্যাথার আরও দুটি উপসর্গ মিলিয়ে ল্যারঞ্জিয়াল ক্যানসারের লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে।

এছাড়া কানের ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে গলা ব্যাথার উপসর্গকে আলাদা করা অসম্ভব। উভয় ক্ষেত্রেই শ্বাসকষ্ট, খেতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। লার্জিয়াল ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই দুটি লক্ষণ গলাতেও দেখা যায়। অন্যদিকে আমেরিকার ক্যান্সার সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, ভোকাল কর্ড বা গ্লোটিসের মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে তা ল্যার‍্যাঞ্জিয়াল ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ।

প্রসঙ্গত, ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারের জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং পরীক্ষা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবছর প্রায় ১৩ হাজার নতুন করে ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। বার্ষিক তথ্য অনুযায়ী এই ধরণের ক্যানসারের কারণে প্রায় ৩,৭০০ জনের মৃত্যু হয়। এই ক্যানসার খুব তাড়াতাড়ি সনাক্ত করা বেশ কঠিন। তবে শারীরিক পর্যবেক্ষণের সঙ্গে এই ক্যানসারের লক্ষণ চিহ্নিত করা সম্ভব। তবে এই ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ কারণ। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির তথ্য অনুসারে, ল্যারিঞ্জিয়াল ক্যানসারের প্রধান ঝুঁকির কারণ হল ধূমপান করা, অন্যান্য তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করা। মাঝারি থেকে অতিরিক্ত মদ্যপান করলে এই রোগের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।

প্রসঙ্গত, ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের মধ্যে এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যাঁদের ওজন বেশি, টাইপ এ ব্লাড রয়েছে, তাঁদের এই ধরণের ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে অনেকটাই।