নিয়মিত ভাবে শাক-সবজি খেতে পারলে যে ওষুধের কোনও প্রয়োজন পড়ে না একথা সেই কবে থেকেই বলে আসছেন চিকিৎসক, পুষ্টিবিদরা। আমাদের চারপাশে প্রচুর রকম সবজি থাকে অধিকাংশ সময় আমরাই তা এড়িয়ে যাই। তবে নিয়ম মেনে খেতে পারলে প্রচুর ফল পাওয়া যায়।
কচু আর ওল একেবারে খাঁটি দেশি সবজি। কিন্তু অনেকেই গলা চুলকোনোর ভয়ে এই ওল বা কচু খেতে চান না। আবার অনেকে ঠিক ভাবে রান্নাও করতে জানেন না। তবে রোজ যদি গরম ভাতের সঙ্গে ওল বা কচু খাওয়া যায় তাহলে একাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়।
পাইলস বা অর্শের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন,আর শীতের দিনে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। পাইলসের সমস্যা যার রয়েছে তিনিই জানেন যে এর কষ্ট কতখানি। যে কারণে সকলকে বলা হয় সবজি, ফাইবার বেশি করে খেতে।
শীতে প্রয়োজনের তুলনায় জল কম খাওয়া হয়। এছাড়াও পার্টি, অনুষ্ঠান বেশি থাকে বলে মাছ-মাংসও বেশি খাওয়া হয়। আর তাতেই সমস্যা হয় সবথেকে বেশি। অনেকের মলদ্বার থেকেও রক্তপাতের সমস্যা হয়।
আমাদের মলদ্বারের ভিতরে রয়েছে কিছু রক্তনালী। এবার মল শক্ত হলে সেই রক্তনালী প্রথমে ফুলে ওঠে। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকলে সমস্যা গুরুতর দিকে চলে যায়। তখন রক্তনালী কেটে যায়। ফলে রক্তপাত হয়। এবার অনেকে বুঝতেই পারেন না যে পাইলস, ফিসার, ফিসচুলা আলাদা আসুখ।
এক্ষেত্রে অনেকেই ওষুধ খান। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মলমও ব্যবহার করেন। অনেকের ক্ষেত্রে তা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পড়ে গেলে তখন সেখান থেকে অপারেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সবচাইতে ভাল রোজকার খাবারের তালিকায় ওল আর কচু রাখা। ঠিক ভাবে রান্না করলে তা শরীরের কাজে লাগে। গলাও চুলকোয় না।
বাজারে যে মেড্রাসি ওল পাওয়া যায় তা চিংড়ি মাছ দিয়ে যেমন খেতে ভাল লাগে তেমনই নিরামিষ পদ্ধতিতেও রান্না করলে ভাল লাগে। এছাড়াও ওল সিদ্ধ করে কাঁচা সরষের তেল, পেঁয়াজ , কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মেখে গরম ভাতে খেলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
নিয়মিত ওল খেলে ওজনও কমে। তবে ওল কাটার সময় সতর্ক থাকতে হবে। ওল কাটার সময় হাতে সামান্য সরষের তেল মেখে নিন। এরপর ওলের ছাল ছাড়িয়ে নিন। এরপর অল্প তেল দিয়ে রান্না করে নিতে হবে। কম পরিমাণ জিরে, গোলমরিচ, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো দিয়ে রান্না করে নিন।