ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ফের মৃত্যু রাজ্যে।
যে কারণে প্রচুর পরিমাণ মানুষ ঢুকে পড়েছেন আক্রান্তের তালিকায়। মাথা ব্যথা, শ্বাস নিতে সমস্যা, পেটের সমস্যা, বমি এই সব হল ডেঙ্গির লক্ষণ। যদি দুদিনের পরও জ্বর থাকে, সঙ্গে ক্লান্তি, খিদেমন্দা থাকে তাহলে সাবধাণ। ডেঙ্গির পরীক্ষা করিয়ে নিতে ভুলবেন না। যত দ্রুত চিকিৎসা করা যায় ততই মঙ্গল।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের মতে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ডেঙ্গি জ্বরের আলাদা করে কোনও উল্লেখ নেই। তবে জ্বরের সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথার যন্ত্রণা, বমি, ডায়ারিয়ার মত সমস্যা হলে তার সঙ্গে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্লিখিত অস্থিধাতুগত জ্বরের সাথে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এই জ্বরে শরীরে লালচে দাগ, মাথাব্যথা-সহ একাধিক সমস্যা থাকে।
সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ রিসার্চ অ্যান্ড আয়ুর্বেদ সায়েন্স এর নির্দেশিকা অনুযায়ী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে সহজপাচ্য খাবার, প্রচুর পরিমাণ জল, ফল এবং বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। ডেঙ্গিতে চিকিৎসার পাশাপাশি এই সব নিয়মও মেনে চলা ভীষণ রকম জরুরি। ডেঙ্গি হলে আয়ুর্বেদে ২ গ্রাম শুণ্ঠী এবং ৫ গ্রাম গুলঞ্চ ১০০ এম এল জলে ক্বাথ বানিয়ে এক চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও একেবারে পাতলা খিচুড়ি বানিয়ে রোগীকে খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
এছাড়াও করলা, পটল এসব সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে সবজি দিয়ে যত পাতলা ঝোল খাওয়ানো যায় ডেঙ্গি রোগীকে ততই ভাল। এছাড়াও লাল শাক খাওয়া যেতে পারে। এতে হজমের কোনও সমস্যা হয় না। ডেঙ্গিতে গায়ে যদি অ্যালার্জির সমস্যা হয় তাহলে চন্দন ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডেঙ্গি থেকে সেরে উঠলেও বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। বাইরের খাবার বেশ কিছুদিন পর্যন্ত খাওয়া যাবে না। ঠাণ্ডা লাগানো চলবে না। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, প্রচুর জল খাওয়া এবং হালকা খাবার খুবই জরুরি।