Dementia: ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম বৃদ্ধদের মধ্যে বাড়িয়ে দেয় ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি, সমীক্ষা

Sleeping and Dementia: বিজ্ঞানের পরিভাষায় মস্তিষ্কের অ্যাট্রোফি, হাইপারটেনসিটিস, প্রোইনফ্ল্যামেটরি বায়োমার্কার এবং হোয়্যাইট ম্যাটার এর সঙ্গে সংযুক্ত। এছাড়াও বয়স এবং লিঙ্গভেদেও দেখা দেয় এই ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি

Dementia: ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম বৃদ্ধদের মধ্যে বাড়িয়ে দেয় ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি, সমীক্ষা
কেন বাড়ছে ডিমেনশিয়া
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2022 | 3:28 PM

কোভিড পরবর্তী সময়ে বয়স্কদের মধ্যেও বেড়েছে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি। সম্প্রতি চিনের এক গ্রামে বয়স্ক ব্যক্তিদের উপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়। আর সেই সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে যাঁরা বেশিক্ষণ ঘুমোন তাঁদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বেশি। তুলনায় যাঁদের ঘুম কম হয় তাঁদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার সম্ভাবনা কম। সমীক্ষা চালাকালীন যাঁদের ডিমেনশিয়া ছিল না পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে তাঁরাও আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। ৬০-৭৪ বছরের বয়স্কদের মধ্যেই চালানো হয়েছিল এই বিশেষ সমীক্ষা। এরপর সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হয় আমেরিকান জেরিয়াট্রিক্স সোসাইটির জার্নালে। সেই জার্নালে তখন উল্লেখ করা হয় যে, শহরের তুলনায় গ্রামে এই ডিমেনশিয়াতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। চিনের ওই গ্রামের নিরিখেই সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, গ্রামের মানুষের ঘুম শহরের মানুষের তুলনায় বেশি। অর্থাৎ তারা রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যায়, সকালে তাড়াতাড়ি ওঠে। যে কারণে তাদের ঘুমের মানও যে খুব একটা ভাল হয় তা নয়।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শহরের তুলনায় গ্রামে এই ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বেশি। সেই সঙ্গে ঘুমের সময়, ঘুমের সময়কাল, ঘুমের গুণগত মানের উপর নির্ভর করেই বিচার করা হয় অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি কতখানি থাকে। প্রায় চার বছর ধরে চালানো হয় এই গবেষণা। মোট ১,৯৮২ জনের উপর চালানো হয়েছিল এই সমীক্ষা। তার মধ্যে ৯৭ শতাংশের ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া ধরা পড়ে। তার মধ্যে ৬০ শতাংশ মত মহিলা এবং বাকি ৮৩ শতাংশ পুরুষ। এর মধ্যে ৩৮.২ শতাংশের কোনও রকম প্রাথমিক শিক্ষা ছিল না। এছাড়াও যাঁরা রোজ ৭-৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমোন তাঁদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি। তবে যাঁরা রাত ৯ টার মধ্যে ঘুমোতে যান তাঁদের মধ্যে এই ঝুঁকি বলেশি। তুলনায় ১০ টা বা ১০ চার পর ঘুমোতে গেলে এই সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কম।

বিজ্ঞানের পরিভাষায় মস্তিষ্কের অ্যাট্রোফি, হাইপারটেনসিটিস, প্রোইনফ্ল্যামেটরি বায়োমার্কার এবং হোয়্যাইট ম্যাটার এর সঙ্গে সংযুক্ত। এছাড়াও বয়স এবং লিঙ্গভেদেও দেখা দেয় এই ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি। ডিমেনশিয়া ফেলে রাখলে সেখান থেকে পরিস্থিতি আরও অনেক বেশি জটিল হতে পারে। আর তাই প্রথম থেকেই চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। এছাড়াও হঠাৎ বসে থেকে ঢুলে পড়া, হেলান দিয়ে কোথাও বসলেই যদি ঘুম এসে যায় তাহলেও সাবধান। পরবর্তীতে এখান থেকেই আসে অন্যান্য একাধিক সমস্যা।

এই মুহূর্তে ডিমেনশিয়ার সঙ্গে লড়ছেন ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। প্রতি বছর প্রায় ১০ লক্ষের মত মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে, জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশ্বে এখন মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ এই ডিমেনশিয়া। আগামী ৩০ বছরে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিনগুণ হবে বলে আশঙ্কা। তাই ডিমনেশিয়া এড়াতে আরও সবকিছুর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম এবং সঠিক ভঙ্গীতে ঘুম ততটাই জরুরি।