Turmeric: হলুদের গুণই বাড়িয়ে দিতে পারে লিভারের সমস্যা, দাবি নতুন গবেষণায়
Liver Health: আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে হলুদ খেলে লিভারের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে।
আয়ুর্বেদে প্রাচীনকাল থেকে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। বেশিরভাগ মানুষ মনে করেন হলুদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যদিও এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। পেটের সমস্যা থেকে শুরু করে ত্বকের সমস্যা, একাধিক ক্ষেত্রে হলুদ ব্যবহৃত হয়। তার কারণ হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন নামক একটি রাসায়নিক যৌগ। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে যে একইভাবে হলুদ কাজ করে, তা কিন্তু নয়। সম্প্রতি একটি গবেষণা পাল্টে দিয়েছে হলুদের গুণাগুণ সম্পর্কিত তথ্য।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হলুদ খাবারে যে রঙ ও গন্ধ যোগ করে এবং শরীরে যে প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব ফেলে তা লিভারের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। লিভার হল শরীরের বৃহত্তম অঙ্গ যা চর্বি বিপাক এবং সঞ্চয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমন আপনার মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে, যে মশলা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রান্ত সমস্যায় ওষুধ হিসেবে কাজ করে, সেখানে কীভাবে এটি লিভারের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে।
আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে হলুদ খেলে লিভারের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এই গবেষণাটি ইঁদুরের উপর করা হয়েছিল, যাদের লিভারে প্রদাহ ছিল। ওই সব ইঁদুরের রক্তের নুমনা সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের কারকিউমিন যোগ করা হয়। চার থেকে আট সপ্তাহ ধরে এই গবেষণাটি করা হয়। তারপরেই জানা যায় যে, হলুদ লিভারের উপর প্রভাব ফেলে।
২০১১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ১৬টি ঘটনা দেখা গিয়েছে যেখানে হলুদ খাওয়ার জন্য লিভারের সমস্যা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন রোগী হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ খেয়েছিলেন আরও ভাল হজম স্বাস্থ্যের জন্য। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রায় ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এর মধ্যে এক জনের মৃত্যুও হয়। ১০ বছর ধরে করা এই গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী হলুদ লিভারের উপর প্রভাব ফেলে। যদিও এই নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
হলুদের উপকারিতাকে কোনওভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। এর আগে যে সব সমীক্ষা বা গবেষণা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন পিত্ত নালী ব্লকেজ হ্রাস করে এবং প্রদাহ কমায়। কিন্তু প্রথম থেকেই যদি লিভারের সমস্যা থাকে তাহলে হলুদ কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। এক্ষেত্রে লিভারের মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। অবস্থার অবনতি ঘটলে ওই সময় লিভার প্রতিস্থাপন করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।