World Pneumonia Day: বায়ুদূষণের জেরে হু-হু করে বাড়ছে নিউমোনিয়ার সমস্যা, সংক্রমণ ফুসফুসেও
Air Pollution: নিউমোনিয়ার ফলে ফুসফুসের অ্যালভিওলাই অর্থাৎ বায়ু ভর্তি থলিতে সংক্রমণ হয়। আর এই সংক্রমণের ফলে সেখানে তরল বা পুঁজ জমা হয়
ক্রমেই বাড়ছে দূষণ। আর এই দূষণের কারণেই একাধিক রোগ সমস্যা জাঁকিয়ে বসছে আমাদের শরীরে। বায়ুর গুণগত মামের আগের তুলনায় অবনতি হয়েছে। এবং সেই অবনতির মাত্রা এতটাই যে ঠিকমতো শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। দূষণ একাধিক প্রাণীর মৃত্যুরও কারণ। এমনকী লক্ষ লক্ষ মানুষকে জীবন সংশয়ের মুখে এসে দাঁড় করিয়েছে এই দূষণ। নিউমোনিয়া এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মত একাধিক সমস্যার প্রধান কারণ হল এই বায়ুদূষণ। কোভিড কালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ফুসফুস। কোভিড ভাইরাসের প্রকোপে প্রচুর মানুষের ফুসফুস আগের তুসনায় দুর্বল হয়ে গিয়েছে। ফলে যে কোনও রকম সংক্রমণ খুব তাড়াতাড়ি জাঁকিয়ে বসে আমাদের শরীরে। ইদানিং কালে নিউমোনিয়াতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ছোট থেকে বড় এমনকী সদ্যজাতরাও ছাড় পাচ্ছে না এই নিউমেনিয়ার প্রকোপ থেকে।
নিউমোনিয়ার ফলে ফুসফুসের অ্যালভিওলাই অর্থাৎ বায়ু ভর্তি থলিতে সংক্রমণ হয়। আর এই সংক্রমণের ফলে সেখানে তরল বা পুঁজ জমা হয়। এছাড়াও যাদের কফ , কাশির সমস্যা রয়েছে তাদের যদি দীর্ঘদিন ধরে কফ জমতে থাকে তাহলে শ্বাস নিতে খুবই অসুবিধে হয়। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন ছত্রাকের সংক্রমণের ফলে সেখান থেকে নিউমোনিয়া হতে পারে। বার বার যদি শ্বাসনালীর সংক্রমণ, অ্যালার্জি, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, সিওপিডির সমস্যা হয় তাহলে সেখান থেকে হার্টের সমস্যা আসে। এমনকী মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। এমনকী বাড়ে ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকিও। শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতীদের উপর এই দূষণ আর ধোঁয়ার প্রভাব সবচাইতে বেশি। যে কারণে শিশুদের ফুসফুসে জন্মগত ত্রুটিও দেখা দিচ্ছে। নিউমেনিয়া, হাঁপানির মত অসুখ তো আছেই।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সমীক্ষা প্রকাশ্যে এসেছে। সেই সমীক্ষায় বলা হয়েছে প্রতি বছর প্রায় ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হন ফুসফুসের সমস্যা এবং হার্টের নানা সমস্যায়। দীর্ঘস্থায়ী নিউমোনিয়া থেকে হতে পারে ফুসফুসের ক্যানসার। এক্ষেত্রে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। যানবাহন, গাড়ির ধোঁয়া থেকে দূষণ আগে আটকাতে হবে। আর তাই দূষণ থেকে কী ভাবে নিজদের আটকানো যায় সেই চেষ্টা নিজেদেরই করতে হবে।
ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসা চলবে না কোনও ভাবেই।
অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে
মুখে সব সময় মাস্ক রাখতেই হবে
ধোঁয়া এড়িয়ে চলতে হবে
বার বার ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।