টাক পড়ে যাওয়া পুরুষদের ক্ষেত্রে মারাত্মক রূপ নিতে পারে কোভিড, জানাচ্ছে মার্কিন গবেষণা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বায়োটেকনোলজি কোম্পানি, 'অ্যাপ্লায়েড বায়োলজি' সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে।

টাক পড়ে যাওয়া পুরুষদের ক্ষেত্রে মারাত্মক রূপ নিতে পারে কোভিড, জানাচ্ছে মার্কিন গবেষণা
অ্যানড্রোজেনেটিক অ্যালোপেশিয়া চিরকালীন চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ। এই সমস্যা যাঁদের হয়, তাঁদের ক্ষেত্রেই টাক পড়ার সমস্যাও দেখা দেয়।
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2021 | 12:50 PM

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় কাবু গোটা ভারত। এর মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসার খবর প্রকাশ হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন ভারতবাসী। বিশেষ করে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের একটু বেশিই সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই কঠিন এবং জটিল মহামারীর পরিস্থিতিতে এবার প্রকাশ্যে এল আরও একটি চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, যেসব পুরুষের চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে (হরমোন সেনসিটিভ হেয়ার লস), তাঁরা কোভিড আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এবং আইসিইউতে থাকার প্রবণতা বেশি।

বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আগেই জানা গিয়েছিল যে অ্যানড্রোজেনেটিক অ্যালোপেশিয়া চিরকালীন চুল পড়ার একটি অন্যতম কারণ। এই সমস্যা যাঁদের হয়, তাঁদের ক্ষেত্রেই টাক পড়ার সমস্যাও দেখা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বায়োটেকনোলজি কোম্পানি, ‘অ্যাপ্লায়েড বায়োলজি’ সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছে। আর সেই রিসার্চের মাধ্যমেই জানা গিয়েছে যে, কোভিড ১৯ ভাইরাস এবং অ্যানড্রোজেন রেসেপ্টর (এআর) জিনের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে।

এই কোম্পানির সমীক্ষা অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত হয়ে যেসমস্ত পুরুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের ৭৯ শতাংশের মধ্যে অ্যানড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া দেখা গিয়েছে। গবেষণাকারী টিম আরও জানিয়েছে যে, এআর জিনের ভ্যারিয়েশনের মাধ্যমেই অ্যানড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া নিয়ন্ত্রিত হয়। এই এআর জিনের সাহায্যেই বোঝা যায় যে, অ্যানড্রোজেন হরমোনের জন্য ওই নির্দিষ্ট শরীর কতটা সেনসিটিভ। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, TMPRSS2 নামের একটি উৎসেচক বা এনজাইম রয়েছে যা কোভিড ১৯ সংক্রমণ ছড়ায়। এই এনজাইমও অ্যানড্রোজেন সেনসিটিভ এবং এআর জিনের ভ্যারিয়েশনের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়। গবেষকরা জানিয়েছেন, এআর জিনের মধ্যে তাঁরা এমন একটি জায়গা খুঁজে পেয়েছেন যেখানে অ্যানড্রোজেন সেনসিটিভিটি এবং অ্যানড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া, দুইয়েরই লক্ষণ দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- নতুন মায়েরা সন্তানের পাশাপাশি নিজেদেরও যত্ন নিন, অতি অবশ্যই খেয়াল রাখুন এই ৬টি বিষয়

হাসপাতালে ভর্তি ৬৫ জন পুরুষ করোনা আক্রান্তকে নিয়ে সমীক্ষা এবং গবেষণা করেছিল ওই মার্কিন কোম্পানি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যেসব পুরুষের এআর জিনে গঠনগত ফারাক লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যেই মারাত্মক আকার নিয়েছে কোভিড সংক্রমণ। মার্কিন সংস্থা ‘অ্যাপ্লায়েড বায়োলজি’- র চিফ মেডিক্যাল অফিসার অ্যান্ডি গোরেন জানিয়েছেন, এআর জিনের এই গঠনগত ফারাক থেকে হয়তো বোঝা যাবে যে কোন পুরুষ করোনা আক্রান্তদের আইসিইউতে ভর্তির আশঙ্কা রয়েছে। এই পদ্ধতিকে বলে বায়োমার্কার। আবার এই বায়োমার্কার যদি অ্যানড্রোজেন রেসেপ্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে সেই স্যাম্পেল থেকে বোঝা যাবে যে কোভিড ১৯ আক্রান্তদের ক্ষেত্রে অ্যানড্রোজেনের গুরুত্ব কতটা মারাত্মক।