Diabetic Foot Ulcer: দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? ‘ফুট আলসার’-এর ঝুঁকি এড়াবেন কীভাবে…

Diabetes: ডায়াবেটিস হল এমন একটি শারীরিক সমস্যা যার কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে চোখ, পা, কিডনি। শরীরে ডায়াবেটিস থাকাকালীন সহজে পায়ের ক্ষত সারতে চায় না।

Diabetic Foot Ulcer: দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? ‘ফুট আলসার’-এর ঝুঁকি এড়াবেন কীভাবে...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2022 | 6:30 PM

ডায়াবেটিস হল এমন একটি শারীরিক সমস্যা যার কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে চোখ, পা, কিডনি। শরীরে ডায়াবেটিস থাকাকালীন সহজে পায়ের ক্ষত সারতে চায় না। পাশাপাশি পা ঘামতে থাকে, পা ফুলে যায়, পায়ে তরল পদার্থ জমতে থাকে, পা দিয়ে পুঁজ বের হতে থাকে, দুর্গন্ধ বার হয়। এই লক্ষণগুলো মূলত ‘ডায়াবেটিক ফুট আলসার’-এর ক্ষেত্রে দেখা যায়। ভারতে মোট জনসংখ্যার ৮.৯ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। সেখানে শতকরা প্রায় ১০ জনেরও বেশি মানুষের মধ্যে ‘ডায়াবেটিক ফুট আলসার’-এর সমস্যা দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন ‘ডায়াবেটিক ফুট আলসার’-এর সমস্যায় ভুগছেন।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের মতে, বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ আজ ‘ডায়াবেটিক ফুট আলসার’-এ আক্রান্ত। ‘ডায়াবেটিক ফুট আলসার’-এ আক্রান্ত হলে রোগীর বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আসলে শরীরে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে গেলে তার প্রভাব স্নায়ুকোষের উপর পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে সুগারে আক্রান্ত হলে স্নায়ুকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একে নিউরোপ্যাথি বলা হয়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পায়ের আলসারের পিছনে ‘ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি’ দায়ী। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে স্নায়ুকোষ উপাদান গ্লাইকোজেনকে অস্বাভাবিক ভাবে ভেঙে দেয়। এর ফলে স্নায়ুকোষগুলো ঠিকঠাকভাবে কাজ করতে পারে না এবং ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা হারিয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে পায়ের উপর। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস থাকলে ধীরে ধীরে পা ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে।

‘ডায়াবেটিস ফুট আলসার’-এর বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণ ক্ষেত্রে পায়ে ফোস্কা, পায়ে ক্ষত, পায়ে ব্যথা, অসাড়তা, ভারসাম্যহীনতার লক্ষণগুলো দেখা দেয়। প্রাথমিক অবস্থায় পায়ের যত্ন না নিলে ক্ষত আরও বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে পায়ে আলসারের সমস্যা দেখা দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পা কেটে বাদও দিতে হতে পারে।

‘ডায়াবেটিক ফুট আলসার’ -এর ক্ষেত্রে জুতোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। খোলামেলা জুতো পরুন। জুতো থেকে পায়ে যাতে কোনও সংক্রমণ না হয় সে দিকে খেয়াল রাখুন। রাস্তা থেকে বাড়ি ফিরে গরম জল দিয়ে পা ধুয়ে নিন। সবসময় মৃদু সাবান ব্যবহার করবেন। ক্ষার-যুক্ত সাবার পায়ের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। পা পরিষ্কার করার পর ফুট ক্রিম বা নারকেল তেল ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এতে সহজেই আপনি পায়ে সংক্রমণ সমস্যা এড়াতে পারবেন।