Side Effects of Almonds: মুঠো মুঠো আমন্ড খেয়ে ওজন কমাতে চান? হতে পারে কিডনিতে পাথর, এমনকি মৃত্যুও
Benefits of Almonds: তবে ব্রেকফাস্টে আমন্ড যদি বেশি খাওয়া হয় তাহলে তা কখনও খারাপ হতে পারে না। তবে কোনও কিছুরই অতিরিক্ত ভালো নয়।
রোজ একমুঠো করে আমন্ড চিবিয়ে খান! সারা বিশ্বেই আমন্ড খাওয়া সবসময় সুস্বাস্থ্য ও ফিট থাকা অন্যতম উপায় বলে মনে করা হয়। আমন্ডে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই, প্রোটিন ও ফাইবার। এছাড়া বহু রোগভোগের চিকিত্সায় সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে। ওজন কমাতে, হার্ট ভালো রাখতে , রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও রক্তচাপের মাত্রা কমাতে ও খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
অতিরিক্ত আমন্ড খেলে কী কী হতে পারে,ধারণা রয়েছে?
আমন্ড খাওয়া ভালো। কিন্তু আমন্ড যদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে তা স্বাস্থ্যে উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। জলখাবারে আমন্ড, ব্রাঞ্চে আমন্ড, স্ন্যাকসে আমন্ড সবেতেই যদি আমন্ড খাওয়াহয় তা ক্ষতিকর। তবে ব্রেকফাস্টে আমন্ড যদি বেশি খাওয়া হয় তাহলে তা কখনও খারাপ হতে পারে না। তবে কোনও কিছুরই অতিরিক্ত ভালো নয়।
হজমের সমস্যা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য বাদামের তুলনায় আমন্ডে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, রিবোফ্লাভিন ও নিয়াসিন। এগুলি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। মাত্র এক আউন্স বাদাম বা ২৩টি আমন্ড আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন। তবে তার থেকে বেশি খাওয়া হলে তা থেকে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফোলাভাব, পেট খারাপ হতে পারে।
হাই ফাইবার থাকার কারণে শরীরকে অনেকটা প্রভাবিত করে। বেশি ফাইবার গ্রহণ করা হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বিপদ হয়ে উঠতে পারে। যদি আমন্ড বেশি খাওয়া হয়ে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশি করে জল পান করুন।
– অতিরিক্ত ফাইবার গ্রহণের কারণে আমন্ডে উপস্থিত অন্যান্য পুষ্টি যেমন ম্য়াগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক ইত্যাদি রক্তপ্রবাহে শোষিত হয় না। যার ফলে এই খনিজগুলির অভাব দেখা দিতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আমন্ড খুব অল্প পরিমাণেই খান।
ওজন বাড়িয়ে তোলে
সাধারণত ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেই আমন্ড অনেকে খান। স্ন্যাকস হিসেবে আমন্ড খাওয়া ভালো। তবে সঠিক পরিমাণে খেলে শরীর তা সঠিক জবাব দিতে পারে। আমন্ড বেশি খাওয়া হলে শরীরে বাড়তি মেদ জমে। এছাড়া ক্যালোরি বেশি হয়ে ওজন আরও বেড়ে যায়। ক্যালোরি বার্ন করার জন্য যদি পরিশ্রম না করেন, তাহলে আমন্ড খেয়েও ব্যাপকভাবে ওজন বাড়তে থাকবে। পরিমাণের চেয়ে আমন্ড খাওয়া তাই সাবধান।
অ্যালার্জি
আমন্ড খেলে অনেকেরই অ্য়ালার্জির সমস্যা তৈরি হয়। যাঁরা অ্যালার্জিতে ভুগছেন, তাঁরা একেবারেই আমন্ড খাবেন না। কারণ তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা অ্যালার্জেন হিসেবে চিহ্নিত। তাই আমন্ড কখনও কখনও অ্যালার্জি সিনড্রোমের কারণ হতে পারে। গলায়, মুখের পাশে চুলকানি, জিভে ঘা,ঠোঁটে ঘা, মুখে ফোলাভাব দেখা দেয়। এছাড়া আমন্ডে রয়েছে অ্যানফিল্যাক্সিস নামক যৌগ, যা অ্যালার্জির অন্যতম কারণ। বেশি মাত্রায় খেলে শ্বাসকষ্ট, আমবাত, বমি বমি ভাব, বমি, মাথা ঘোরা, কন্ঠস্বর পাল্টে যাওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায়।
কিডনিতে পাথর তৈরি করে
অতিরিক্ত পরিমাণে আমন্ড খাওয়া হলে কিডনিতে পাথরও তৈরি হয়। অনেক বেশি বাদাম খাওয়ার ফলে তা গুরুতর পর্য়ায়ে চলে যায়। বাদামে রয়েছে অক্সালেট সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক যৌগ। সবুজশাকসবজি, লেবু ও অন্যান্য খাবারেও রয়েছে অক্সালেট, যা শরীরে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।