PCOS Awarness Month: বাড়ছে পিসিওএসের সমস্যা, নিজেকে বাঁচাতে কী করবেন? জানুন
PCOS: সাধারণত, বিশেষজ্ঞরা পেলভিক পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাফি এবং হরমোন সংক্রান্ত রক্ত পরীক্ষার সাহায্যে মহিলাদের পিসিওএস নির্ণয় করেন। এই পরীক্ষা সাধারণত করা হয় যখন মহিলার মাসিক হয়। এটি তাদের বেসলাইন হরমোন এবং তাদের জরায়ুর আকার নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।

প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসটি ‘PCOS সচেতনতা মাস পালিত হয়। সারা বিশ্বে ক্রমে ছড়িয়ে পড়ছে এই সমস্যা। আর তার জন্য মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা আবার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই এক মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের এই সমস্যা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার কী কী…
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম কী?
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমকে PCOSও বলা হয়। এটি মহিলাদের মধ্যে একটি হরমোনজনিত সমস্যা। এ কারণে তাঁদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেনের (পুরুষ হরমোন যা মহিলাদের মধ্যে অল্প পরিমাণে পাওয়া যায়) মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। PCOS মহিলাদের মধ্যে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে, যার কারণে অনিয়মিত পিরিয়ড হয়। স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
কেন ভারতে PCOS কেস বাড়ছে?
দেশে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে এই সমস্যা দ্রুত বাড়ছে। জেনেটিক কারণে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম হতে পারে। কখনও-কখনও অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া,মানসিক চাপ, শরীরচর্চার অভাব ইত্যাদি কারণে PCOS হতে পারে। গত দুই দশক ধরে মানুষের জীবনধারা বদলে গিয়েছে অনেকটাই, আর তারই প্রভাব পড়ছে শরীরের উপরও। একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে, প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় মহিলা (20%) PCOS-এর সমস্যায় ভুগছেন।
PCOS এর কারণ: সাধারণত, PCOS ২০-৩৫ বছরের মধ্যে মহিলাদের শরীরে বাসা বাঁধে। এর ফলে অল্পবয়সী মহিলাদের মধ্যে অনিয়মিত পিরিয়ড, শরীরের বিভিন্ন অংশে, যেমন উপরের ঠোঁটে, চিবুক, বগল এবং পেটে অবাঞ্ছিত লোমের বৃদ্ধি ঘটায় এবং স্থূলতা সৃষ্টি করে। এছাড়া মহিলাদের মধ্যে গর্ভধারণে অক্ষমতা, গর্ভপাতের ঝুঁকি, জন্মগত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ গর্ভাবস্থা, শিশুদের জন্মগত অস্বাভাবিকতার মতো সমস্যার আশঙ্কা অনেকটাই বাড়ে। যদিও PCOS-এর সঠিক কারণ অজানা। বিশেষজ্ঞদের মতে, PCOS কে শুধুমাত্র একটি রোগ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না, কারণ এটি একটি বিপাকীয় এবং হরমোনজনিত সমস্যা। জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে এটি ঘটে।
PCOS এর লক্ষণগুলো কী কী?
PCOS বিভিন্ন মহিলাদের মধ্যে বিভিন্ন প্রভাব দেখায়। PCOS এর কিছু সাধারণ লক্ষণ হল:
অনিয়মিত মাসিক হওয়া
মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত
পিঠে, পেটে, বুকে, মুখমন্ডলে ও শরীরে চুলের অত্যধিক বৃদ্ধি
মুখ এবং পিছনে ব্রণ
ওজন বৃদ্ধি, ওভারিয়ান সিস্ট
চুল পড়া
শরীরের অস্থিসন্ধির চারপাশের ত্বক, যেমন- ঘাড়, কোমর, স্তনের অভ্যন্তরে চামড়া কালো হয়ে যাওয়া
মাথা ব্যথা
কখন ডাক্তার দেখাবেন? প্রত্যেক মহিলাকে বছরে একবার একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। এবং বিশেষজ্ঞর পরামর্শ মত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চিকিৎসা করতে হবে।
পিসিওএসের চিকিৎসা:
সাধারণত, বিশেষজ্ঞরা পেলভিক পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাফি এবং হরমোন সংক্রান্ত রক্ত পরীক্ষার সাহায্যে মহিলাদের পিসিওএস নির্ণয় করেন। এই পরীক্ষা সাধারণত করা হয় যখন মহিলার মাসিক হয়। এটি তাদের বেসলাইন হরমোন এবং তাদের জরায়ুর আকার নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। এবং বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কোপিক ওভারিয়ান ড্রিলিং করা হয় অনেকসময়। একবার PCOSধরা পড়লে, বিশেষজ্ঞরা সাধারণত জীবনধারা পরিবর্তন, যেমন- ওজন হ্রাস, জীবনধারায় লাগাম টানা ও শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।





