তাপপ্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব রুখতে এবং গরমকালে সুস্থ থাকতে সঠিক পরিমাণে জল খান

বৈশাখ মাস না পড়লেও তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ক্রমশ চড়ছে পারদ। চলছে তাপপ্রবাহও। এই পরিস্থিতিতে শরীর সুস্থ রাখতে ঠিক কী কী কারণে জল খাওয়া প্রয়োজন সেটাই জেনে নেওয়া যাক।

তাপপ্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব রুখতে এবং গরমকালে সুস্থ থাকতে সঠিক পরিমাণে জল খান
গরমকালে আমাদের বডি টেম্পারেচার অর্থাৎ মানবদেহের তাপমাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে জল।
Follow Us:
| Updated on: Apr 03, 2021 | 3:00 PM

জলের আর এক জীবন। একথা আক্ষরিক অর্থেই সত্যি। মানবশরীরের ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশে থাকে জল। তাই বেশ কিছুদিন খাবার না খেলেও আমরা বেঁচে থাকতে পারব। কিন্তু জল না খেয়ে তিনদিনের বেশি বাঁচতে পারে না মানুষ। আর এখন গরমের সময়ে এমনিতেই প্রচুর জল খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসক, ডায়েটিশিয়ান এবং বিউটি এক্সপার্টরা। কারণ পরিমিত পরিমাণ জল খেলে তবেই সুস্থ সতেজ থাকবেন আপনি। সেই সঙ্গে আপনার ত্বকের এবং চুলের জেল্লাও বজায় থাকবে।

এদিকে বৈশাখ মাস না পড়লেও তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ক্রমশ চড়ছে পারদ। চলছে তাপপ্রবাহও। এই পরিস্থিতিতে শরীর সুস্থ রাখতে ঠিক কী কী কারণে জল খাওয়া প্রয়োজন সেটাই জেনে নেওয়া যাক।

১। সঠিক পরিমাণে জল খেলে এই গরমেও আপনি থাকবেন হাইড্রেটেড। অর্থাৎ ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জলের ঘাটতি হওয়ার সমস্যায় ভুগবেন না।

২। ঠিকমতো জল খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। এছাড়া আমারদের মুখে খাবার গেলে প্রথমে যে স্যালিভা বা লালারস খাবারটিকে নরম করে এবং পরবর্তী সময়ে সহজপাচ্য করে তোলে সেই স্যালিভা তৈরিতেও সাহায্য করে জল।

৩। জল খেলে গরমে আপনার ত্বক এবং চুলের ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকবে। ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক বা ‘ডাল’ অর্থাৎ জৌলুসহীন লাগবে না।

৪। গরমকালে আমাদের বডি টেম্পারেচার অর্থাৎ মানবদেহের তাপমাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে জল। তাই গরমকালে বিশেষ করে পরিমিত জল খাওয়া প্রয়োজন।

৫। আমাদের শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে থাকা টিস্যু, পেশী এইসব সচল রাখতে সাহায্য করে শরীরে থাকা জলের পরিমাণ। শুধু তাই নয়, ওজন ঠিক রাখতেও সাহায্য করে জল। কম জল খেলে আপনার বারবার খিদে পেতে পারে। ঠিকমতো জল খেলে খাবার সহজে হজম হয়।

৬। কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা দূর করে জল। সঠিক পরিমাণ জল খেলে কিডনিতে পাথর হবে না। তাছাড়া পরিমিত জল খেলে আমাদের শরীরের রেচন ক্রিয়ার সাহায্যে সমস্ত দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

৭। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকভাবে হওয়ার পিছনেও রয়েছে জল। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে। অর্থাৎ মানশরীরের অনেক সমস্যারই সমাধান সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া।