Bone Health: হাড় মজবুত রাখতে শুধু দুধে কাজ হবে না, ক্যালশিয়ামে ভরপুর এই ৫ জুস রাখছেন তো?

Vitamin D Food: হাড় মজবুত করতে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। ধূমপান, মদ্যপান একেবারেই চলবে না। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট এসব বেশি করে খেতে হবে

Bone Health: হাড় মজবুত রাখতে শুধু দুধে কাজ হবে না, ক্যালশিয়ামে ভরপুর এই ৫ জুস রাখছেন তো?
হাড় মজবুত হবে এই জুসেই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 9:45 AM

হাঁটু ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পিঠে ব্যথা আর ঘাড়ে ব্যথা নেই এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সকলেই কোনও না কোনও ব্যথা রোগে ভুগছেন। ভাবছেন একটানা বসে কাজ করার ফলে এই সমস্যা হচ্ছে। আবার কেউ ভাবছেন ভুল খাদ্যাভ্যাস আর লাইফস্টাইলের জন্য এই ব্যথা হচ্ছে। কোমরে ব্যথা কিংবা ঘাড়ে ব্যথা হলে অধিকাংশই ধরে নেন শোওয়ার দোষে হচ্ছে। এরপর কেউ তেল মালিশ করেন, ব্যথানাশক স্প্রে ব্যবহার করেন, কেউ আবার প্রাচীন টোটকা মেনে লেপ-বালিশ রোদে দেন। তবে বিশেষজ্ঞরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। সব সময় এই ব্যথা মানেই বাত কিংবা আর্থ্রাইটিস নয়। এর নেপথ্যেও কিন্তু গোল বাঁধায় আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রা। আবার পর্যাপ্ত ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি না পাওয়ায় অনেকের হাড় দুর্বল হয়ে যায়। সেখান থেকেও হতে পারে ব্যথা-বেদনা।

হঠাৎ করেই যদি পিঠে ব্যথা হয়, কি বোর্ডে টাইপ করতে গিয়ে যদি আঙুলে ব্যথা ককে তাহলে তা কিন্তু শরীরে ক্যালশিয়াম আর ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির লক্ষণ। সামান্য কাজ করার পর যদি দুর্বল লাগে, কয়েকটা সিঁড়ি উঠেই যদি হাঁফ ধরে যায় তাহলে বুঝতে হবে হাড় দুর্বল হয়ে গিয়েছে। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে ভুগতে হতে পারে অস্টিওপোরোসিসে। এতে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এমনকী ভঙ্গুরও হয়ে যায়। রূপকথার গল্পে এই রোগকেই হাড় মড়মড় রোগ বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।

হাড় মজবুত করতে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। ধূমপান, মদ্যপান একেবারেই চলবে না। ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট এসব বেশি করে খেতে হবে। সর্বোপরি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অবশ্যই, দুধ, দই এবং পনিরের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্যগুলিতে ক্যালসিয়াম বেশি থাকে তবে কিছু রস রয়েছে যা প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ফসফরাস, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি সরবরাহ করে আপনার হাড়কে শক্তিশালী করতে পারে।

আঙুরের রস

আঙুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। এছাড়াও থাকে সুক্রোজ। তাই যাদের সুগার আর কিডনির সমস্যা থাকে তাদের আঙুর এড়িয়ে চলতে বলা হয়। তবে আঙুরে ভিটামিন সি-থাকে অনেকটা পরিমাণে। যা হাড়ের ম্যাট্রিক্সে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলিকে বের করে দিতে সাহায্য করে।

পালং স্মুদি

পালং শাক শরীরের জন্য খুব ভাল। এর মধ্যে ফাইবার, ভিটামিন কে, বিভিন্ন খনিজ আর ক্যালশিয়ামে ভরপুর। কলা আর পালং শাকের স্মুদি বানিয়ে খান এতেও অনেক উপকার পাবেন।

সয়া মিল্ক

হাড় সুস্থ ও মজবুত রাখতেতে বাদাম ও সয়া মিল্কও খেতে পারেন। এই পানীয়গুলিতে সাধারণত বেশ কিছু পুষ্টি থাকে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে – বিশেষ করে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি। সয়া মিল্কের তৈরি বিভিন্ন খাবার খান।

লেবুর রস

রোজ একগ্লাস লেবু জল বা অরেঞ্জ জুস অথবা মুসাম্বির জুস কিন্তু অবশ্যই খাবেন। খাবারে যাতে কোনও রকম ঘাটতি না থাকে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।