Usefulness of Vitamin K: কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন K সবচেয়ে বেশি কার্যকরী
যাঁরা ভিটামিন-K সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেয়েছে তাদের এথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনীতে প্লাক তৈরি) সম্পর্কিত কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কম।
একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে ভিটামিন-K সমৃদ্ধ খাবার খেলে এথেরোস্ক্লেরোসিস-সংক্রান্ত কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমতে পারে (হার্ট বা রক্তনালীগুলিতে প্রভাব ফেলে এই রোগ)।
গবেষণার ফলাফল ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জার্নাল’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকরা বিগত ২৩ বছরের প্রায় ৫০,০০০ মানুষের ড্যানিশ ডায়েট, ক্যান্সার এবং স্বাস্থ্য গবেষণার তথ্য পরীক্ষা করেছেন।
তাঁরা দেখেছেন, যাঁরা ভিটামিন-K সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেয়েছে তাদের এথেরোস্ক্লেরোসিস (ধমনীতে প্লাক তৈরি) সম্পর্কিত কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কম।
ভিটামিন কে দুই প্রকারের খাবারে পাওয়া যায়:
ভিটামিন K1 প্রাথমিকভাবে সবুজ শাকসবজি এবং উদ্ভিজ্জ তেল থেকে আসে। ভিটামিন K2 মাংস, ডিম ও পনিরে পাওয়া যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল ব্যক্তি ভিটামিন K1 বেশি গ্রহণ করেন তাঁদের এথেরোস্ক্লেরোসিস সম্পর্কিত কার্ডিওভাসকুলার রোগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ২১% কম হয়। অন্যদিকে ভিটামিন K2 বেশি গ্রহণ করা মানুষদের সেই ঝুঁকি ১৪% কম।
এথেরোস্ক্লেরোসিস সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের হৃদরোগের জন্যই এই ঝুঁকি কমতে দেখা গেছে। বিশেষ করে পেরিফেরাল ধমনী রোগ প্রায় ৩৪% কমেছে।
ইসিইউ গবেষক এবং সিনিয়র লেখক ডঃ নিকোলা বন্ডনো (Dr. Nicola Bondonno) বলেন, “গবেষণায় বলা হয়েছে যে এথেরোস্ক্লেরোসিস এবং পরবর্তী কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য ভিটামিন K বেশি পরিমাণে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।”
“যদিও বর্তমানে রোগীদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র K1 কেই ডায়টের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে যাতে তাঁদের রক্ত তাড়াতাড়ি জমাট বাঁধতে পারে। তবে, আসতে আসতে জানা যাচ্ছে যে কার্ডিওভাস্কুলার ছাড়াও অন্যান্য শিরা, ধমনীজনিত রোগেও ভিটামিন K-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।”
আরও পড়ুন: করোনা পজিটিভ অবস্থায় টিকা নিলে শরীরের মারাত্মক প্রভাব পড়ে! কতটা যুক্তিযুক্ত