Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কে বলল, জ্বর কমাতে অ্যান্টিবায়োটিকই ভরসা? যে সব খাবারে দ্রুত সুস্থ হবেন…

Antibiotics: অ্যান্টিবায়োটিক শরীরকে ব্যাকটেরিয়া গঠিত সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। অ্যান্টিবায়োটিক খেলেই যে আপনি দু'দিনে সুস্থ হয়ে যাবেন, এমন নয়। অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ডোজ় নেওয়ার পর, এটা তখনই কার্যকর হবে, যখন এর সঙ্গে আপনি সঠিক খাবার খাবেন।

কে বলল, জ্বর কমাতে অ্যান্টিবায়োটিকই ভরসা? যে সব খাবারে দ্রুত সুস্থ হবেন...
Follow Us:
| Updated on: Dec 26, 2023 | 12:49 PM

বড়দিন, নতুন বছরের আমেজের মাঝে জ্বর-সর্দি পিছু ছাড়ছে না। শীতকাল এলেই যেন সর্দি-কাশিও শুরু হয়ে যায়। ঋতু পরিবর্তনের মুখে জ্বর-সর্দি বেশি ভোগায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক না খেলে সুস্থ হয়ে ওঠা যায় না। নতুন বছর শুরু মুখে রোগে ভুগতে কারওই ভাল লাগে না। তার উপর এখন আবার ভয় দেখাচ্ছে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট। তাই অ্যান্টিবায়োটিক সঙ্গে রাখতে হচ্ছে। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক কখন সঠিক কাজ করে, জানেন? যখন আপনি অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে সঠিক খাবার খাবেন।

অ্যান্টিবায়োটিক শরীরকে ব্যাকটেরিয়া গঠিত সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। অ্যান্টিবায়োটিক খেলেই যে আপনি দু’দিনে সুস্থ হয়ে যাবেন, এমন নয়। অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ডোজ় নেওয়ার পর, এটা তখনই কার্যকর হবে, যখন এর সঙ্গে আপনি সঠিক খাবার খাবেন। সঠিক খাবার অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। যখন আপনি অ্যান্টিবায়োটিক নিচ্ছেন, এর সঙ্গে কী-কী খেতে পারেন আর কোনগুলো এড়িয়ে চলবেন রইল টিপস।

অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে যেসব খাবার খাবেন-

প্রোবায়োটিক: প্রোবায়োটিকে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া থাকে। এটি অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলোকে প্রতিরোধ করে। ল্যাকটোব্যাসিলি এবং স্যাকারোমাইসিস সবচেয়ে কার্যকর প্রোবায়োটিক হিসাবে পরিচিত। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর প্রোবায়োটিক খান। প্রোবায়োটিকযুক্ত খাবার হিসেবে টক দই, আচার, কম্বুচা, কিমচি ইত্যাদি খেতে পারেন।

প্রিবায়োটিক: অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করার সময় অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ারও ক্ষতি করে দেয়। এক্ষেত্রে প্রিবায়োটিক খাওয়া দরকার। ডাল ও কড়াই খাবারে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ফার্মে‌ন্টেড হয়। কোকোর মতো কম ফাইবার যুক্ত খাবারও প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। আসলে কোকোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অন্ত্রের মাইক্রোবিয়োটার উপর ভাল প্রভাব ফেলে। এছাড়াও রসুন, পেঁয়াজ, কলা, বার্লি, ওটস দেহে প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।

অ্যান্টিবায়োটিকের গ্রহণ করলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন-

অ্যালকোহল: অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে মদ্যপান করা চলবে না। এতে শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। যে কোনও ওষুধ ও অ্যালকোহল একসঙ্গে খেলে লিভারের উপর চাপ পড়ে। এতে লিভারে নতুন রোগ তৈরি হতে পারে।

অ্যাসিডযুক্ত খাবার: কমলালেবু, পাতিলেবুর মতো সাইট্রাস জাতীয় ফল, টমেটো ইত্যাদি অ্যাসিড যুক্ত খাবার অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী ঠিকই। কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে খেলে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে। অথবা, এই ধরনের খাবার অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার দু’ঘণ্টা আগে বা পরে খেতে পারেন।