Minor Suicide: ইউটিউবে সার্চ ‘নিজেকে শেষ করার বিভিন্ন উপায়’, তারপরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল ১১ বছরের কিশোর
YouTube Video; মৃত কিশোরের নাম নিখিল সাহু (১১), সুমেরপুরের বাসিন্দা ওই কিশোর ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। শনিবার দুপুরে নিখিল বাড়িতে একাই ছিল। মায়ের ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিল। সেখানেই ইউটিউবে একটি ভিডিয়ো দেখে। "কীভাবে আত্মহত্যা করা যায়"- এই ভিডিয়ো দেখেই তার অনুকরণ করে কিশোর। সত্যি সত্যিই তাঁর মৃত্যু হয়।
লখনউ: ছোট ছোট বাচ্চার হাতেও আজকাল দামি স্মার্টফোন। তিন-চার বছরের বাচ্চাও ইউটিউবে ভিডিয়ো সার্চ করতে জানে। অল্প বয়সেই ইন্টারনেটের জগতে প্রবেশ করার পরিণতি কী ভয়ঙ্কর হতে পারে, তার হাতেনাতে প্রমাণ মিলল আবারও। ইউটিউবে ভিডিয়ো দেখে আত্মহত্যা করল ১১ বছরের কিশোর। শনিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের হামিরপুর জেলায়। মৃত কিশোরের নাম নিখিল সাহু (১১), সুমেরপুরের বাসিন্দা ওই কিশোর ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। শনিবার দুপুরে নিখিল বাড়িতে একাই ছিল। মায়ের ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিল। সেখানেই ইউটিউবে একটি ভিডিয়ো দেখে। “কীভাবে আত্মহত্যা করা যায়”- এই ভিডিয়ো দেখেই তার অনুকরণ করে কিশোর। সত্যি সত্যিই তাঁর মৃত্যু হয়।
সন্ধ্যা বেলায় পরিবারের সকলে যখন কাজ থেকে ফেরেন, তখন দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও ওই কিশোরের সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তাঁর মা খোঁজাখুঁজি করতে ঘরে যেতেই দেখতে পান, ছেলের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক ভিড় জমে যায়। পরে পুলিশ এসে কিশোরের দেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কিশোরের মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে মোবাইলের সার্চ হিস্ট্রি দেখে জানা গিয়েছে, নিখিল ইউটিউবে সার্চ করেছিল “ওয়েজ টু কিল ইউরসেল্ফ”। এরপরই আত্মহত্যা করে সে। পরিবারে বা স্কুলে কোনও সমস্যা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।