Kerala Bird Flu Cases: একদিনেই নিধন ১২ হাজার হাঁস, বার্ড ফ্লু আতঙ্কে সংক্রমিত এলাকায় প্রবেশেও জারি নিষেধাজ্ঞা
Ducks culled in Kerala amid Bird Flu Scare: শুক্রবারই আলাপুজ়া জেলার কালেক্টর একটি জরুরি বৈঠকে বসেন। আপাতত জেলা প্রশাসনের তরফে হাঁস, মুরগি, কোয়েল সহ গৃহপালিত পাখির ডিম ও মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আলাপুজ়া: ফের একবার বার্ড ফ্লু (Bird Flu) ধরা পড়তেই অতি সতর্ক হল কেরল প্রশাসন (Kerala Government)। চলতি সপ্তাহেই কেরলের আলাপুজ়া (Alapuzha) জেলায় বেশ কিছু হাঁস-মুরগির নমুনায় বার্ড ফ্লুর ভাইরাস এইচ৫এন১ (H5N1) ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়ে। এরপরই সংক্রমণ রুখতে পাখি নিধনের (Bird Culling) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুক্রবার থাকাজ়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১০ নম্বর ওয়ার্ডেই ১২ হাজার হাঁসকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিগত এক সপ্তাহ ধরে আলাপুজ়া জেলায় বহু হাঁস ও মুরগির মড়ক দেখা দিতেই উদ্বেগ ছড়ায়। স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেওয়া হলে তারা মৃত পাখির নমুনা সংগ্রহ করে ভোপালের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজে (National Institute of High-Security Animal Disease) ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। মোট ১৪০ টি নমুনার মধ্যে ২৬টি নমুনাতেই বার্ড ফ্লু সংক্রমণ ধরা পড়ে।
রাজ্যের পশু আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকেই সংক্রমিত এলাকায় পাখি নিধনের কাজ শুরু করা হবে। যাতে আরও পাখির মধ্যে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, পশু-পাখি পালকদের ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। আলাপুজ়া জেলা ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ভোপালে পরীক্ষার জন্য় পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবারই আলাপুজ়া জেলার কালেক্টর একটি জরুরি বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আশেপাশের জেলায় যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য় কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। আপাতত জেলা প্রশাসনের তরফে হাঁস, মুরগি, কোয়েল সহ গৃহপালিত পাখির ডিম ও মাংস বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চম্পাকুলম, নেদুমুডি, মুত্তার, ভিভাপুরম, কারুভাট্টা, থাকাজাই, পুরাক্কড, আম্বালাপুজা উত্তর ও দক্ষিণ, এদাথভা ও হরিপ্পদ পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
থাকাজ়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে বারড ফ্লু ধরা পড়ায়, সেখানে ১২ হাজার হাঁস মেরে ফেলা হয়েছে। এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই নিরাপদভাবে পাখির দেহ মাটি চাপা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আপাতত গোটা এলাকাকেই সংক্রমিত এলাকা বা কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকায় মানুষ ও যানবাহন যাতায়াতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশকেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং সংক্রমিত এলাকা থেকে যাতে কেউ না বেরোন, তার জন্য কড়া নজরদারি করতে বলা হয়েছে। পশু কল্যাণ দফতরকে পাখি মারা ও মাটি চাপা দেওয়ার জন্য একটি ব়্যাপিড অ্যাকশন টিম বানাতে বলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্য়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।