Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পুলিশ- অন্নদাতা সংঘর্ষে আহত ৮০ জন আইন রক্ষক

রাজধানীর লোকনায়ক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন পুলিশকর্মী। সিভিল লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন।

পুলিশ- অন্নদাতা সংঘর্ষে আহত ৮০ জন আইন রক্ষক
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 26, 2021 | 11:26 PM

নয়া দিল্লি: প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর র‍্যালিকে (Tractor Rally) কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের আকার নেয় রাজধানী। ক্রমেই সংঘর্ষ বাধে পুলিশ ও অন্নদাতাদের মধ্যে। সেই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৮০ জন পুলিশকর্মী। যার মধ্যে একাধিক গুরুতর জখম পুলিশকর্মীও রয়েছেন। আহতদের দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রাজধানীর লোকনায়ক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন পুলিশকর্মী। সিভিল লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন। অরুণা আসিফ আলি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ৮ পুলিশকর্মীর। এছাড়াও আহতদের চিকিৎসা চলছে তীর্থ রাম শাহ হাসপাতাল, মহারাজা অগ্গরসেন, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী-সহ একাধিক হাসপাতালে।

বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দেয় একাধিক জায়গায়। সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আইটিও জংশন ও লালকেল্লাও। এই লালকেল্লাতেই চড়াও হয়ে চূড়ায় হলুদ পতাকা লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। নাংগলোইতেও সংঘর্ষ হয় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে। বিক্ষোভের জেরে দিল্লির একাধিক অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিল্লি এনসিআরের একাংশের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিক্ষোভের সমালোচনা করে দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল। বিক্ষোভের প্রসঙ্গে টুইট করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লেখেন, “হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আহত যেই হন না কেন, লোকসান আমাদেরই দেশের।”

ঘটনার সমালোচনা করে আরেক কংগ্রেস সাংসদ শশী থরুর লেখেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমি প্রথম থেকেই কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে এসেছি। তা বলে আমি অনাচারকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো দিনে পবিত্র জাতীয় পতাকা ছাড়া আর কোনও পতাকা লাল কেল্লায় শোভা পায় না।”

ঘটনার নিন্দা করেছে আম আদমি পার্টিও। টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লেখেন,”দিল্লির রাজপথে যে ঘটনাগুলি ঘটেছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের এবং বেদনার। কৃষক ভাই-বোনেদের প্রতি কেন্দ্রের অসংবেদনশীল মনোভাব এবং উদাসীনতাই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।”